কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনরোষে পড়েন এক ভূয়া সাংবাদিক । গত বুধবার সকালে উপজেলার ভানুডাঙ্গা বাজারে কৃষকদের থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে নিজের ভুল স্বীকার করে স্থানীয় জনতার কাছে ক্ষমা চাইলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক পরিচয়ধারী রুবেল আহমেদ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা এলাকার মৃত মীর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত ভানুডাঙ্গা’সহ কাজিপুরের বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষ-জনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতো রুবেল নামের ওই ভূয়া সাংবাদিক। এর আগেও ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকবার চাঁদাবাজি করে গেছেন তিনি ।
ভানুডাঙ্গা এলাকার আইয়ুব জানান, আজ সকালে জমিতে হালচাষ করছিলাম। এসময় ভোরের সময় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ধারী রুবেল আহমেদ ও সরেজমিন বার্তার রিপোর্টার পরিচয়ধারী শাহীন খান নামের দুই ভূয়া সাংবাদিক আমার জমিতে আসে। এমন সময় মনগড়া কিছু অভিযোগ তুলে ধরে রুবেল আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আমার নামে মামলা হবে বলে ভয় দেখায়। পরে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করলে স্থানীয় জনতা রুবেলকে আটক করে। পরে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইলে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে অভিযুক্ত রুবেল চাঁদাবাজি করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার সাব- ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে এমন অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। রুবেল নিজের ভুল স্বীকার করে জনতার কাছে ক্ষমা চাইলে ভুক্তভোগী কৃষক আইয়ুব আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, সাংবাদিক পরিচয়ধারী রুবেল আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও জুয়ায় আসক্ত। মাদক সেবন ও জুয়ার টাকার জোগান দিতে দীর্ঘদিন যাবত জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ মানুষজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একডালা এলাকার অনেকে জানান, রুবেল প্রকৃতপক্ষে একজন মাদকাসক্ত। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে রুবেল দীর্ঘদিন যাবত হার্টের সমস্যায় ভুগছেন বলেও জানান তারা।