রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার ০৯টি উপজেলার অগনিত গনমানুষ গরম কাপড়ের দোকানে ৪টা থেকে রাত্রি ৮টা৯টা পর্যন্ত ভির করতে দেখা যাচ্ছে।
কুড়িগ্রামের শহরের বিভিন্ন জায়গায় গরম কাপড়ের দোকান। এর মধ্যে ২টি মার্কেটে লোকজনের ভিড় দেখা যাচ্ছে একটি নছর উদ্দীন মার্কেট অন্যটি হচ্ছে কুড়িগ্রাম জজকোর্ট মার্কেট গরম কাপড়ের দোকান।
কুড়িগ্রামের মধ্যে বিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত গরীব দুঃখী সকলেই গরম কাপড়ের জন্য নছর উদ্দীন এবং জজকোর্টের মোড় গরম কাপড়ের দোকানে ছুটছে।
কুড়িগ্রাম জজকোর্ট মোড় এলাকায় দোকানদার দুলাল,নুরু, এনামুল, আনোয়ারা, শিমুল শ্রী মজন,পল্লভী আবার নছর উদ্দীন মমার্কেটের শাহাবুল,রানী, বেদী,মোল্লা , হারুন, সজীব, বাহাদুর ,কীর্তন জী ,বাবলু জানান ২০২৩এর থেকে ২০২৪ইং এ ঠান্ডার ভাগ বেশী থাকায় এবারে ৮০%লোকজন ঠান্ডা নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের দোকানে ছুটছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ ইং বেশী ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর ছিনাই সূত্রে জানা গেছে ১৫ থেকে ২০ ও ২৫ আবার কখনও কখনও ১২থেকে ১৫ডিগ্ৰী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে বলে শ্রী সুবল চন্দ্র সরকার কর্তৃক জানা গেছে। অফিস আরো জানান উত্তরের পঞ্চগড় এবং কুড়িগ্রাম শীতকালে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে আমাদের সচেতন হতে হবে। এ মাসে ২থেকে ৩টা শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে ও জানান কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রাম সীমান্ত এলাকা বলে কুড়িগ্রাম সীমান্তে হিমালয় পাহাড় ঘেঁষা অঞ্চল । হিমালয়ের পাদদেশে কুড়িগ্রাম অবস্থিত। শীতের আশঙ্কা এ অঞ্চলে বেশি বলে বিজ্ঞ সমাজ গবেষক ও বিশ্লেষকরা মনে করেন।
শীতের মৌসুমে এলাকার লোকজন গরমের কাপড়ের জন্য হাহাকার করে উঠেন বলে ও অনেকে জানান । ধনীক শ্রেনীর লোকজন শীতে গরম কাপড় বিতরণ করলে ও প্রকৃতপক্ষে যারা শীতবস্ত্রহীন তারা গরমের কাপড় পায় না।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন শীতের বরাদ্দ অনুসারে শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়। এতে তেমন সমাধান হয় না। সমাজের বিত্তশালীদের এ ব্যাপারে একান্ত ভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন।
কুড়িগ্রাম জেলায় শীতের ঘনঘটায় লোকজন গরম কাপড়ের দোকানে ছুটছে বলে অনেকে জানান।