মারুফ সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসীবাদী স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১৬ বছরে তৈরি হওয়া লুটেরা গোষ্ঠীর অপতৎপরতা এখনো সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসনের ভিতর ফ্যাসীবাদী দোষররা এখনো লুকিয়ে থেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবার চেষ্টা করছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষি ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত “ফ্যাসীবাদের দোষর, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল’র গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে” মানববন্ধন কর্মসূচিতে রাজনীতিক ও ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন চেয়ারপারসন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসীবাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয় নাই। দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। প্রশাসনের ভিতর লুকায়িত থাকা স্বৈরাচারের দোসররা লুটেরা গোষ্ঠীর সহযোগী হিসাবে সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের ভিতর লুকায়িত লুটেরাদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামলসহ তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষি ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ মোঃ শামিম হোসেন মিঞার সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, স্বদেশ মঞ্চের সভাপতি মামুনুর রশীদ খান, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান লিটন, গণতান্ত্রিক ফোরামের সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, নির্যাতিত কৃষক নেতা মোঃ জহুরুল ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সদস্য সোহেল রানা, নির্যাতিত কৃষক নেতা আরিফুর রহমান শিমুল, ২৪’র গণঅভ্যূত্থানের নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক বগুড়ার ক্যুখ্যাত কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল কে গ্রেফতার করা না হলে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদানসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রের দুর্নীতির বরপুত্র সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বগুড়ার শেরপুরে ১০০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে তার উপর শস্যচিত্রে শেখ মুজিবের মুখচ্ছবি একে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠিয়েছে। আর এটিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি করেছে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়। বগুড়ার নাগরিক হওয়ায় রাতারাতি বোল পাল্টে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে প্রশাসনের ভিতরে লুকায়িত থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের মদদে বিভিন্ন জাগায় অর্থ দিয়ে অরাজগতা সৃষ্টি করছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে বহু দুর্নীতির খবর বের হয়ে আসবে। একই সাথে গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করার ঘটনার সাথেও সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। এর পরেও আমন বোরোতে ষার ও কিটনাশক ঔষধের সিন্ডিকেট করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার সকল নীল নকশা একেছে। তাকে গ্রেফতার করা এখন সময়ের দাবি।