নিহারেন্দু চক্রবর্তী,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
বাংলাদেশে ফ্যাসিষ্ট সরকারের স্বীকৃতি পাওয়া আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে। সেই আ. লীগ সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা দপ্তর সম্পাদক সুজিত চক্রবর্তী’কে উপজেলা প্রসাশন কতৃর্ক আয়োজিত জুলাই- আগষ্ট অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণসভায় অতিথির চেয়ারে বসে থাকতে দেখে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক দেওয়ান সোহাগ। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সুজিত চক্রবর্তী প্রশ্ন করে তুমি কে? এরপর সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে পড়ে সুজিত চক্রবর্তী। এ নিয়ে সমন্বয়ক দেওয়ান সোহাগ বলেন,শহীদের স্মরণসভায় আ.লীগ নেতার উপস্থিতি এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহিদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।
এ ব্যাপারে সুজিত চক্রবর্তী’র দাবী তিনি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে উপজেলা প্রসাশন কতৃর্ক আয়োজিত ওই স্মরণ সভা’র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাছরিন বলেন,ওই অনুষ্ঠানে সুজিত কুমার চক্রবর্তী বিনা দাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন, যা ছিলো প্রসাশনের জন্য বিব্রতকর।
এর পর গত ১ লা ডিসেম্বর প্রেসক্লাব এর সভাপতি পদ থেকে সুজিত চক্রবর্তীর পদত্যাগ দাবীতে মানবন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা নেতৃবৃন্দ।পরে এ নিয়ে ইউএনও শহিনা নাছরিন এর সঙ্গে বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।ইউএনও শাহিনা নাছরিন মোবাইল ফোনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই আ. লীগ নেতার কাছে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা জানতে চাইলে সুজিত চক্রবর্তী পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
এরই প্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর(সোমবার) প্রেসক্লাব নাসিরনগর এর সভাপতি পদ থেকে লিখিত ভাবে পদত্যাগ করেন সুজিত চক্রবর্তী।
যদিও প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদকের কাছে লিখিত পদত্যাগ পত্রে সুজিত কুমার চক্রবর্তী শারিরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারন দেখিয়েছেন।
চিঠিতে তার পরিবর্তে সভাপতি হিসেবে দৈনিক নয়াদিগন্ত নাসিরনগর প্রতিনিধি আছমত আলীকে দায়িত্ব অর্পণ করার কথাও উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক দেওয়ান সোহাগ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ,এটা ছাত্র সমাজের বিজয়।তুমি কে? এই কথার জবাব কি হতে পারে ছাত্র সমাজ দেখিয়ে দিয়েছে।