আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের শালিকা গ্রামে রাতের আঁধারে পর-পর ৩টি বোমা বিস্ফোরণ ও ১টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে১২ টার পর উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় আঃ বারেক মন্ডলের ছেলে বিএনপি নেতা হাসানের বাড়ির গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকাল সাতটার দিকে হাসান আলমডাঙ্গা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গাংনী তদন্ত কেন্দ্রর ইন্সপেক্টর বাবর আলী নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ১টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে।
এদিকে বিএনপি নেতা হাসান বলেন, আমি বাজার থেকে ১১ টার দিকে বাড়ি পৌছানোর পর খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১২ঃ৪০ মিনিটের সময় বোমার শব্দে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। আমার গেটের সামনেই ৩টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং আর একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়নি। এমনকি আমার গেটে কে বা কাহারা লাথি মেরে চলে গেছে আমি বাহির হয়নি। কারা এই ন্যাক্কারজন করেছে আমি জানিনা না, আর আমি কাওকে সন্দেহও করতে পারছি না। ঘুম থেকে উঠার পর সকাল ৭টার সময় আমি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বোমাটি উদ্ধার করে।
শালিকা গ্রামের. দোকানদার তুষার জানায়, আমি চায়ের দোকান রাত সাড়ে ১২টার সময় বন্ধ করে বাড়ি কেবলমাত্র ঢুকেছি এমন সময় সম্ভবত রাত ১২ঃ ৪০ মিনিটের পর থেকে পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর পর – পর ৩ টি বোমার বিকট শব্দ শুনতে পায়। তখন নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি বাহির হয়নি।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে শালিকা গ্রামে সকলের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে । বর্তমানে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । স্থানীয় লোকজনের ধারণা হয়তো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করার জন্য এমনটি করতে পারে দুষ্কৃতিকারীরা। যাতে করে তাদের উদ্দেশ্যটি সহজেই হাসিল হয়।
গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী আয়নাল হোসেন বলেন, আমার এলাকায় সকালে এমন ঘটনা শুনে আমি বিমোহিত। তবে দলের ভেতর বর্তমানে কোন কোন্দল নাই। হাট নিয়ে একটা ঝামেলা চলছিল সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। এই সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড যারা ঘটাচ্ছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
এ বিষয়ে গাংনী তদন্ত কেন্দ্রর ইন্সপেক্টর বাবর ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।