তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি ।
নরসিংদীতে আন্তর্জাতিক সর্বজনীন স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রবীণদের স্বাস্থ্য অধিকার ও “সরকারের উপর নাগরিকদের স্বাস্থ্য নির্ভরশীল”-এ প্রতিপাদ্যে রির্সোস ইন্টিগ্রেশন সেন্টার ( রিক )-এর উদ্যোগে ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আইএসআইজিওপি ( ISIGOP ) প্রজেক্ট-এর আওতায় ১২ টি সংগঠনের ১৫০ জনেরও অধিক সদস্যের উপস্থিতিতে নরসিংদী সদর সাব ডিষ্ট্রিক কোর্ডিনেটর ( ISIGOP ) নুর মোহাম্মদ-এর সভাপতিত্বে এক বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার ( রিক )-এর পাঁচদোনাস্হ অফিস কার্যালয় থেকে শুরু করে পাঁচদোনা গোলচত্বর প্রদক্ষিন করে পুনরায় অফিস প্রাঙ্গণের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে আলোচনায় বক্তরা বলেন , “সরকারের উপর নাগরিকের স্বাস্থ্য নিভরশীল” এবং প্রবীণদের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে জোর দাবী জানান। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এবং সকল পেশার প্রবীণদের সরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে সহজলভ্যতার আহ্বান করেন। বয়স্কদের ভাতার পরিমান আরও বৃদ্ধি করার জন্য সুপারিশ করেন। এ সময় আমদিয়া ইউনিয়ন ( ISIGOP )-এর সভাপতি শামীম আহসান দেলু , মহিষাশুড়া ইউনিয়ন ( ISIGOP )-এর সভাপতি জি এম মতিউর রহমান শাহ্ চিশতী , পাচঁদোনা ইউনিয়ন ( ওঝওএঙচ )-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ , ( রিক ) এরিয়া ম্যানেজার মোঃ দেলোয়ার হোসেন , ( রিক )-এর মাইক্রোফিন্যান্স আঃ হালিম , মনিটরিটিং ফেসিলেটর ( ISIGOP ) আমজাদ হোসেন ও ইয়াকুব মাঝি সহ ( রিক )-এর বিভিন্ন এলাকার সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা থেকে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও সেবার অধিকার বাস্তবায়নে ১৪ টি দাবি জানানো হয় , জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসূচিতে প্রবীণদের অন্তর্ভূক্তির জন্য অবিলম্বে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন ও কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য বীমাগুলো পরীক্ষা মূলক ভাবে চালু করতে হবে যা ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে। প্রবীণ বয়সে ডায়াবেটিস , হৃদরোগ তথা দীর্ঘমেয়াদী রোগ স্ক্রিনিং-এর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ও তাকে শক্তিশালী করতে হবে। দরিদ্র ও প্রান্তিক প্রবীণদের জন্য মানসম্মত , বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ঔষধ প্রদানের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রবীণ বয়সের অপুষ্টি চিহ্নিত করে তা সমাধানের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সরকারের পুষ্টি বিভাগকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রবীণদের জন্য নায্য ও কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রবীণদের স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির প্রচার অভিযান , পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ে প্রবীণদের লাইফষ্টাইল কেন্দ্রীক প্রতিরোধ মূলক স্বাস্থ্য চর্চার সহায়তা করতে হবে। সামাজিক ব্যবসা হিসেবে জোর গিভারদের যে কোন উদ্যোগকে সরকারী সহায়তা দিতে হবে। প্রবীণ স্বাস্থ্যের শিখন , জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ডকুমেন্ট করা ও সে সব প্রবীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সহায়তা করা। প্রবীণ স্বাস্থ্য সেবাকে কার্যকর করতে সরকারী-বেসরকারী ও নাগরিক পার্টনারশীপের পূর্ণ সহায়তা নেয়া। বাজেটে প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্ধ দিতে হবে। প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রবীণরা বিরূপ পরিবেশ ও কোন খারাপ আচরণের শিকার হলে তা প্রতিকার করতে হবে।