গ্রেফতার-৩, হত্যাকাজে ব্যবহৃত কুড়াল, মটরসাইকেল উদ্ধার
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণ:
জেলার পুলিশ সুপার জনাব জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মহোদয়দের তত্ত্বাবধানে ডিবি’র টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইং ১১/১২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় মনিরামপুর থানাধীন নেহালপুরগামী পাকা রাস্তা বিলের পাশে বাটবিলা নামক স্থানে কোনাকোলা বাজারের ব্যবসায়ী গোবিন্দপুর সাকিনের খোরশেদ সানা’র ছেলে জহিরুল ইসলাম (৫২) এর লাশ পেয়ে উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা পুলিশ। কে বা কাহারা ধারালো অস্ত্র দ্বারা মাথায় ও গলায় আঘাত করে জহিরুল কে হত্যা করার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রী সাইফুর নাহার বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে মনিরামপুর থানার মামলা নং-১০ তাং-১১/১২/২০২৪ রুজু হয়। ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ যৌথ তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের সনাক্ত করে ইং ১৪/১২/২০২৪ তারিখ রাত ০১.৩০ ঘটিকার সময় মনিরাপুর থানাধীন শ্যামনগর গ্রামে অভিযান করে ঘটনায় জড়িত ২ সদস্যকে আটক করে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ধারালো কুড়াল, মোটরসাইকেল, আসামীদের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম জহিরুল কোনাকোলা বাজারের টিউভওয়েল পোতা ব্যবসা করে। শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৩৩) এর সাথে পরকীয়ায় জড়ায় জহিরুল। এর আগে মর্জিনা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সাথে পরকীয়া করে। বিষয়টি শফিকুল জানতে পারে এবং মর্জিনা বেগমের সাথে শফিকুলের দুরত্ব হয় এবং মর্জিনা শফিকুলকে গালমন্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম লাঞ্ছনার প্রতিশোধ নিতে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার দিন সহযোগী মামুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে থাকে। ইং ১০/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা রাত ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোনাকোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল দাড় করিয়ে ধারালো কুড়ালের আঘাতে হত্যা করে লাশ , মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। ঘটনা সংক্রান্তে মর্জিনাকেও থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।