মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ২০/১২/২০২৪ ইং
শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে মিল্কভিটার গোচারণভূমি বর্তমানে শসা চাষীদের দখলে চলে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, অসাধু একটি চক্র মিল্কভিটার কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এই জমি উচ্চ মূল্যে শসা চাষীদের ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চলতি বছরে বৃ-আঙ্গারু এলাকায় অন্তত দেড়শ বিঘা জমি শসা চাষীদের ইজারা দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে বৃ-আঙ্গারু এলাকার গোচারণভূমিতে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্তজুড়ে শসার আবাদ হচ্ছে। মাঠের পর মাঠ থেকে শত শত মানুষ একযোগে গাছ থেকে শসা তুলে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।
শসা চাষীরা জানান, স্থানীয় প্রাথমিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজি আব্দুল লতিফ এবং ম্যানেজার তাহেজের মাধ্যমে প্রতি বিঘা জমি ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বাৎসরিক ইজারা নিয়ে তারা শসা চাষ করছেন। তবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মিল্কভিটার বিস্তীর্ণ এই গোচারণভূমিতে শসা চাষের নিয়ম আছে কি না, সে বিষয়ে তারা অবগত নন।
অভিযুক্ত দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি হাজি মো. লতিফ মুঠোফোনে জানান, কোনো শসা চাষীকে ইজারা দেয়া হয়নি এবং সেখানে কোনো প্রকার শসার চাষ হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বৃ-আঙ্গারু সরকার পাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ম্যানেজার তাহেজ জানান, তার সমিতি মিল্কভিটা থেকে সামান্য পরিমাণ জমি পেলেও কারা শসা চাষীদের ইজারা দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তবে তিনি শুনেছেন, সমিতির সভাপতি ৮-১০ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি ইজারা দিয়েছেন। বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক ডা. মো. ছাইদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারেনি।
উল্লেখ্য, তৎকালীন পাবনা জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন বিভিন্ন মৌজার বিল এলাকায় ১,১৭৯.৮৩ একর খাসজমি ছিল, যা জমিদার প্রথা বিলুপ্তির পর পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নামে রেকর্ড হয়। ১৯৮২ সালে ওই জমির মধ্যে ১,০৩০ একর খাস ভূমি গেজেটভুক্ত করে গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্য মিল্কভিটার অনুকূলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ইজারা প্রদান করা হয়। এই গোচারণ ভূমিতে গবাদিপশু লালন-পালন করে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রতিষ্ঠানটি সমবায় ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে।