চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় সিআরবি (বক্তা অধিকারের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি জিএম মাহফুজুর রহমান, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইফুল,
সোহেল তালুকদার ,রফিক উদ্দিন সহ ভোক্তা অধিকার (সিআরবি)র নেতৃবৃন্দ এই সময় জিএম মাহাফুজু রহমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং আইনের বহুমাত্রিক বিচারিক ব্যবস্থাঃ নিয়ে আলোচনা করেন। এই সময় জিএম মাহফুজুর রহমান বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ভেক্তা অধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ।
বিগত ৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে জনগণের বহুল প্রতিক্ষিত জনবান্ধব আইন “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯” প্রণিত হয়েছে। বর্তমান অন্তর্ভতী সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে প্রণিত আইনসমূহের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ একটি মাইল ফলক। এ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে প্রতিদিনই বাজার তদারকি করে অপরাধ দমনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং ভোক্তাগণ আইনানুযায়ী তাদের অধিকার লংঘিত হলে অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাচ্ছেন। এ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভোক্তারা ও ব্যবসায়িরা সচেতন হতে শুরু করেছেন। ভোক্তারা আইনের সুফলতা পেতে শুরু করেছেন।
এই আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। এ আইনে অপরাধ আমলযোগ্য, আপোষযোগ্য এবং জামিনযোগ্য। বিভিন্ন নামে ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয় প্রণীত আইনসমূহ বলবৎ থাকার প্রেক্ষপাটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ একটি অতিরিক্ত আইন। ইহা মূল আইন না হলেও আইনটি সুসংসহ এবং বিস্তৃত। এ আইনের আওতায় বিচারিক ব্যবস্থা বহু মাত্রিকঃ
১। প্রশাসনিক ব্যবস্থাঃ জরিমানা, লাইসেন্স বতিল এবং কার্যক্রম অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে বন্ধকরণ।
২। ফৌজদারী ব্যবস্থাঃ মামলা দায়ের হলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল ও ২.০০ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
৩। দেওয়ানী প্রতিকারঃ অর্থের ক্ষতি নিরূপিত ৫গুন পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করিয়া মামলা দায়ের করা বিচারের নিম্নোক্ত রায় হতে পারে।
(ক) ক্রটিপূর্ণ পণ্য যথাযথ পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপণের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।
(খ) ক্রটিপূর্ণ পণ্য ফেরত গ্রহণ করিয়া উক্ত পণ্যের মূল্য বাদীকে ফেরত প্রদান করিবার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;
(গ) ক্ষতিপূরণের জন্য বাদীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, যাহা আর্থিক মূল্যে নিরূপিত ও প্রমাণিত ক্ষতির অনূর্ধ্ব ৫গুন পর্যন্ত হইতে পারিবে, প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান; মামলার খরচ প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।
৪। বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ : ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুতের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা যাবে।
৫। স্পেশাল ট্রাইবুনালে মামলা দায়েরঃ অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় স্পেশাল ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- পর্যন্ত হতে পারে।
আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কিমিটিসমূহ গঠন করা হয়েছে।