স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
গত ৫ আগস্টে সরকারের পটপরির্তনের পরও বায়জিদ থানা পুলিশের ওসির চরিত্রের পরিবর্তন হয় নি এমন অভিযোগ করেছেন বায়েজিদ এলাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস জুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজু।
তিনি অভিযোগ করে জানান, তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্ত বোরহান, সালামত উল্লাহ, টিপু, মঞ্জু ও রুবেল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৪ ডিসেম্বর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। প্রথমে অক্সিজেন এলাকার একটি পাহাড়ে, এরপর আতুরার ডিপো এলাকার একটি পরিত্যক্ত গুদামে নিয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধের শর্তে চোখ বেঁধে রাতের আঁধারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী মো: রাজু হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর রাতে অপহরণের সঙ্গে জড়িদের নাম উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রুজু করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী রাজু যাদের নাম উল্লেখ করতে বলেছেন তাদের মধ্যে বোরহান ও রুবেলকে রেখে মনগড়া আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানা।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টস জুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজু। এ সময় লিখিত বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মো রাজু’র ভাতিজা সাজ্জাদ।
ভুক্তভোগী রাজু অভিযোগ করে বলেন, বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান, তদন্ত ওসি ও সেকেন্ড অফিসার নুরুল ইসলাম এবং বায়েজিদ থানাধীন বটতল পুলিশ বিট ইনচার্জ এসআই মনির সুকৌশলে মূল আসামির নাম বাদ দিয়ে মনগড়া ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নেন। যার মামলা নং -২৪। অথচ তাদের যুক্ত করা সেই ছয়জনকে তিনি চেনেন না বলে দাবী করেন ব্যবসায়ী মোঃ রাজু।
এ সময় ভুক্তভোগী রাজু আরও বলেন, ওসি আমাকে ফোন করে বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে বোরহান এবং সালামত উল্লাহ সহ অন্যান্যদের নাম না বলতে এবং মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার জন্যও বলেছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান টেলিফোনে বলেন, মো : রাজুর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি নিজেই থানায় এসে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাদের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো: সালামত উল্লাহ এ মামলায় তিনি জড়িত নয় দাবি করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মো সালামত উল্লাহ বলেন, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়, দলের কিছু লোকজন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এরকম একটি ঘটনার সাথে তার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।