মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম
বিশেষ প্রতিনিধি,
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং বুধবার,
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ এবং জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম এর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে শ্রমিক লীগের নেতাদের শ্রমিক দলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত খুনি পলাতক পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ২০২৩ সালের সর্বশেষ কমিটির জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ রানাকে বর্তমানে হরিয়ান চিনিকলের শ্রমিক দলের সভাপতি করা হয়। শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভাদুকে রাজশাহী হরিয়ান চিনিকল শাখার শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম বিপুল পরিমাণ অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে এদের কে দলের পদপদবি বাগিয়ে দেয়।অথচ স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের সময় রাজপথে যারা হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে তাদের কে বাদ দিয়ে শ্রমিক লীগ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি গঠন করেছে।এদিকে শ্রমিক লীগের নেতা মাসুদ রানা আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার পূর্বে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। মূলত এরা সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি করে যখন যেই দলের প্রভাব দেখে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে রাজনীতি করা এদের নেশা ও পেশা।এই বিষয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ এর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে নাই। পরবর্তীতে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম কে তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার এ ফোন দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সে স্বীকার করেন মাসুদ রানা এবং রফিকুল ইসলাম ভাদুকে রাজশাহী হরিয়ান চিনিকলের শ্রমিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তবে তারা শ্রমিকলীগ করে তাহার এই বিষয়ে জানা নাই। এরপর যখন রোকনুজ্জামান খান আলমকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে তখন সে বলে আপনার তথ্য প্রমাণ গুলো আমাকে পাঠিয়ে দিন।যদি এধরনের সত্য কোন তথ্য থাকে তাহলে আমরা যেমন কমিটিতে কাউকে ঢুকাতে পারি আবার একজনকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের রয়েছে।এই কথা বলার পর তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে আমার সাথে রাতে কথা বলবে এই বিষয়ে এরপর ফোন কেটে দেয়।এতে এতটুকু প্রতীয়মান হয় যে আসলেই এরা দলের ভিতরে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে তাদের মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করে যেখানে জড়িত রয়েছে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের আভাস।