মোঃলিমন হোসেন
গাজীপুরে বাল্যবিবাহ একটা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটা দেখার জন্য কেউ নাই এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাল্যবিবাহের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা, মাতৃমৃত্যুও ঝুঁকি, অপরিণত গর্ভধারণ, প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যুঝুঁকি, প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা, নারীশিক্ষার হার হ্রাস, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়াসহ নানা রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।
গাজীপুর মহানগরের ৩৮ নং ওয়ার্ডের কাজী ও সহকারী দুজনের নাম উল্লেখ করে জেলার রেজিস্টার অফিস গাজীপুরে ১১-১২-২০২৪ ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করেন জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অভিযোগে জানা যায় গাজীপুর সিটির ৩৮ নং ওঘার্ডের কাজী মোঃ জামাল হোসেন ও তার সহযোগী সহ ২/৩ জন, যাদের নাম জানা যায় কথিত কাজী গোলাম আলী ও কাজীর অফিস জাড়ুদার। তিন জন মিলে নিয়ম নীতি না যেনে বাল্যবিবাহ সহ বিভিন্ন অবৈধ বিবাহ কার্যক্রম করে থাকেন। শুধু তাই নয় বিবাহ রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র থাকার বিধান থাকা স্বত্ত্বেয়ও সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া বিবাহ সম্পাদন সম্পূর্ণ করে থাকে এই কাজী জামাল ও তার সহযোগীরা। এছাড়াও বিবাহ নিবন্ধক এর তথ্যে স্থায়ী ঠিকানা গাছা থানাধীন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিন খাইলকুর মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদ রোড।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী ও কাজী জামাল উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায় তার স্থায়ী ঠিকানা মাগুরা জেলায়। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
সোমবার ( ৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে সাব রেজিস্টার জাহিদুর রহমানের স্বাক্ষরিত নোটিশে কাজী মোঃ জামাল হোসেনকে তদন্তক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ০৮জানুয়ারি বুধবার ১১ ঘটিকায় স্ব শরীরে হাজির হইয়া নিজ নিজ স্বপক্ষে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদানের জন্য বালা হয়েছে।