1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
সীমান্তে ফেলানী হত্যার বিচার, ১৪ বছর ঝুলন্ত ভারতীয় আদালতে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
চট্টগ্রাম সিটিতে বিভিন্ন হোটেলে ফাঙ্গাস যুক্ত মাংস সংরক্ষণ হোটেল জামানকে জরিমানা তিন দফা: শহীদ মিনারে অবস্থান বিডিআর সদস্যদের রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ মনোমুগ্ধকর বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা শ্রমিক দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সওজের প্রকৌশলী মো : শাহে আরেফীনকে বরখাস্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নবান্ন অভিযান করেন শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ভারতীয় হাইকমিশনারের নীলফামারী জেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০২৫ সালের কমিটি গঠন সিংড়ায় কৃষকের নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দিলো প্রতিপক্ষরা

সীমান্তে ফেলানী হত্যার বিচার, ১৪ বছর ঝুলন্ত ভারতীয় আদালতে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

 

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : আমার নিরপরাধ কিশোরী মেয়েটাকে পাখির মত গুলিকরে মারলো। মৃত্যু যন্ত্রণায় শুধু পানি পানি করে চিৎকার করছিল। এক ফোঁটা পানিও তারা দেয়নি। তার লাশ কাঁটাতারে উলটো ঝুলিয়ে রাখছিলো। ১৪ বছর আগের প্রকাশ্য এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার এখনো ঝুলিয়ে আছে ভারতের আদালতে। বিচার প্রকৃয়া সম্পুর্ন হতে আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে! নতুন সরকারের কাছে এমনটাই প্রশ্ন ফেলানীর বাবা-মা এবং স্হানীয়দের।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। ঘটনার দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে শুরু হয় এ হত্যাকাণ্ডের বিচার। ফেলানীর বাবা ও মামার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়। রায় প্রত্যাখান করে পুনরায় বিচার দাবির পর দ্বিতীয় দফায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। পরে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন করে। এরপর বারবার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করা হলেও রহস্যজনক ভাবে বিচার প্রকৃয়া বন্ধ রয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচার না পাওয়ার বিষয়ে বিগত সরকারের অবহেলাকে দায়ী করলেন ফেলানীর বাবা-মা ও স্বজনরা।
ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ফেলানী হত্যার ১৪ বছর হলেও এখন পর্যন্ত বিচার পাই নাই। ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে গেলাম, কয়েকবার শুনানির তারিখ দিলেও তা পিছিয়ে গেছে। আমার মেয়ে ফেলানী হত্যাকারীর বিচার মরার আগে দেখে যেতে চাই।’
ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, নতুন সরকারের কাছে আমার একটাই দাবি, বিচারটা যাতে আন্তর্জাতিক আদালতে হয়।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী এস. এম. আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদনটা করা হয়েছে, যে রিটটি রয়েছে, সেটি নিষ্পত্তি হলে শুধু যে ন্যায়বিচারই হবে, তা নয়। আমি মনে করি ভবিষ্যতে আমাদের বর্ডার ম্যানেজমেন্টসহ, খুন-খারাবি কমে আসবে।

রফিকুল ইসলাম রফিক
কুড়িগ্রাম

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি