মোঃ কামরুল হাসান কাজল ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। রমজানের শেষ দিকে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ বাজারের কেনাকাটা।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ততোই বাড়ছে। ছোট-বড়, কিশোর-কিশোরীদের পদভারে মুখর হয়ে উঠছে মার্কেটগুলো।
টেইলার্সের দোকানগুলোতেও বাড়ছে পোশাক তৈরির ব্যস্ততা। দিন-রাত বিরামহীনভাবে কাজ করছেন কারিগররা। সময়ের অভাবে নতুন করে পোশাক তৈরীর অর্ডার নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন কারিগরেরা।
উপজেলার সদরের বিভিন্ন বিপনীবিতান ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষণীয়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে ঘিরে অভিজাত মার্কেট-শপিংমলগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।
বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবির কদর প্রতি বছরের মত এবারও রয়েছে। এবারের ঈদ বাজারে নরমাল, নবাব, প্রিন্ট, বুটিক ও হাতে কাজ করাসহ বাহারী ডিজাইনের নানা বৈচিত্র্যের পাঞ্জাবী বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে শিশু-কিশোর ও বড় সবারই ঈদে বাড়তি আকর্ষণ পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীর পাশাপাশি তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ফিটিং হাফ শার্ট, ফুল শার্ট ও শর্ট পাঞ্জাবী। এসব পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে বেল্ট, নানা রঙ্গের জুতা-সেন্ডেল কিনছেন।
বরাবরের মতো এবারও ঈদ বাজারে মেয়েদের থ্রি পিছের পাশাপাশি রং-বেরঙ্গের দেশি-বিদেশী শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা আর পাঞ্জাবিতে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতান। এছাড়া সুতি ও সিল্কের পাঞ্জাবী, থ্রি পিছ, শাড়ি, শিশুদের রেডিমেন্ট জামা কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
পোশাকের পাশাপাশি চুড়ি, ফিতা, মেহেদী, ক্লিপ, পায়েলসহ রুপচর্চার কসমেটিক্স, পারফিউম সামগ্রী বেশ বিক্রি হচ্ছে। আতর, টুপি, জায়নামাজ ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে চোখে পাড়ার মত।
নতুন ডিজাইনের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম ইচ্ছামত হাঁকছে বিক্রেতারা। বিপনীবিতান ও শপিংমল থেকে শুরু করে সাধারণ বিপনীবিতান এমনকি ফুটপাতের অস্বাভাবিক দাম রাখা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুন বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
উপজেলার ৫নং ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রাম থেকে কেনাকাটা করতে আসা রিয়ামনি (দুলালী) বলেন, গত বছরের ৮০০ টাকার জিনিস এখন ১৬০০-১৭০০ টাকা চাচ্ছে। একটি থ্রি পিছ কিনলাম ১৭০০ টাকায়। যেটি গত বছর ৮০০-১০০০
টাকায় পাওয়া যেত।’
উপজেলার ৩নং তিলাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কুটিবাড়ি গ্রাম থেকে কেনাকাটা করতে আসা জয়নাল হোসেন বলেন গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি। ছেলে মেয়েদের কাপড় কিনে দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
উপজেলা সদরের জুই বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল জলিল বলেন,দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি
বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে বাজারে আসা পোষাক মেয়েদের বেশি পছন্দ। বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।
উপজেলা সদরের সরদার বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মজিদ সরদার বলেন, দেশীয় পোশাকের চেয়ে বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে বাজারে আসা পোষাক মেয়েদের বেশি পছন্দ। মেয়েদের বেশি পছন্দ। তবে বেচাকেনা এবার ভালই হচ্ছে।