মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ১০/০১/২০২৫ ইং
শাহজাদপুরের কৃষিতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলেছে ইউরোপীয় উচ্চমূল্যের সবজি স্কোয়াশ। এই ফসল এখন এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শাহজাদপুরের রূপবাটি ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ২৫ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে।
চাষাবাদে ব্যবহৃত জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কাজলী’ এবং ‘বারি স্কোয়াশ-১’। কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হেক্টরে গড়ে ৩৫ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে চাষ করে কৃষকরা লাভ করছেন ১ থেকে ১.১০ লক্ষ টাকা। এই লাভজনক উৎপাদন কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
শাহজাদপুর থেকে প্রতিদিন স্কোয়াশ রপ্তানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। স্কোয়াশ রাজধানীর বাজারে বিশেষ চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রতি পিস স্কোয়াশ ঢাকায় ১৫ টাকায় রপ্তানি করা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা দরে।
কৃষকরা জানান, স্কোয়াশ চাষে রোগবালাই কম হওয়ায় এবং উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম থাকায় এটি অত্যন্ত লাভজনক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে তারা সফলভাবে এই ফসল উৎপাদন করতে পারছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ জানান, স্কোয়াশ চাষ শুধু কৃষকদের আয় বাড়াচ্ছে না, বরং এ অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করছে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
লাভজনক এই ফসলটি সঠিক পরিকল্পনা ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে পরিচালিত হলে শাহজাদপুরের কৃষি খাতের জন্য এটি হয়ে উঠতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক স্থায়ী ভিত্তি। স্কোয়াশ চাষ ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে কৃষকদের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।