স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ১১৯তম বার্ষিক উরস শরিফ উপলক্ষে সপ্তদশ শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নগরের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১০ জানুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন।
সমাবেশে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রাজনীতিবিদ ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ডা. সাইফুদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম অনিক চৌধুরী।
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশিন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ)।
তিনি বলেন, ‘আকাশায়নের এ যুগে গতানুগতিক ধারা এড়িয়ে চলে উত্তম কাজে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি আজ বড় প্রয়োজন। আধুনিক মানুষের মন চায় একটি দূষণমুক্ত পৃথিবী, দূষণমুক্ত অন্তর। উত্তম ইচ্ছা নিয়ে ভালো কাজে প্রতিযোগিতার মনোভাব জাগ্রত করতে হবে এবং ভালো উত্তম কাজে শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে হবে। কচিকাঁচা শিশু-কিশোরদের মাঝে পবিত্রতার দোলা দিতে হবে। আসমানের অসংখ্য তারকারাজির মতো আজকে এখানে বসে থাকা শিশু-কিশোরদের উত্তম মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের নৈতিক মানবিক, সৎ, নীতিবান ও বিজ্ঞানমুখী প্রজন্ম হিসেবে গড়তে পারলে তারাই আগামী দিনে দ্যুতি ও আলো ছড়াবে।’
তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। কিন্তু আমরা মিথ্যা কথা বলা ছাড়তে পারি না। অনেকেই নামাজ কালাম পড়েন, ধর্মে কর্মেও এগিয়ে থাকেন। অথচ এদের কেউ কেউ আবার ব্যবসার নামে প্রতারণা ও ভোক্তাদের ঠকান। এই বিপরীতমুখী মানসিকতা আমাদের ছাড়তে হবে।’
তরুণ রাজনীতিবিদ ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকের শিশু-কিশোররাই আমাদের আগামী দিনের কাণ্ডারী। এখন থেকেই তাদেরকে মানবিকতা, সততা ও নৈতিকতার পাঠ দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এই ধরনের সৃজনশীল মননধর্মী আয়োজন তাদের মানস চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
আরেফিন রিয়াদের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিশু-কিশোর সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক এইচ এম রাশেদ খান, উপদেষ্টা মাকসুদুর রহমান হাসনু, নুরুল করিম নুরু, সমন্বয়ক অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, এইচ আর মেহবুব জিকো, আবুল মনছুর, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, নাছির উদ্দিন, রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন, মেজবাহ উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিকী, বিপ্লব দে (পার্থ),মোহাম্মদ ওমর ফারুক,আহসান উল্লাহ চৌধুরী বিভন, মো.আরিফুল ইসলাম, আসিফ আহমেদ সাফায়েত, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন, তাজকিয়ার সভাপতি ডা. কৌসিক সাইমন শুভ, জয়নাল আবেদিন জয়,মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।