1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সাগির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম জাফরপুর সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ গাইবান্ধায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক ডা.মইনুল হাসান সাদিক নরসিংদীর শিবপুরে ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তে আদালতের নির্দেশ ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ৪ বাগেরহাটের মোংলায় ট্রেনের নিচে পড়ে এক শিশু নিহত বাগেরহাটের খানপুর ইউপির ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচিত দুই কিশোর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২ কালীগঞ্জে তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান লাবলুর শীতবস্ত্র বিতরণ

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ বেলাল হোসেন, চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চলতেছে দূর্নীতি আর দালালদের মহড়া। আর এই মহড়ায় শিকার হচ্ছেন গরিব অসহায় মানুষ। যারা চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় খালি হাতে।

ভাটিখাইন গ্রামের ফারজানা আক্তার। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে যান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ল্যাবে গিয়ে জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। বহিঃবিভাগের করিডোরে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন রিকশাচালক করিম মিয়া। সন্তানের হাতের এক্সরে করাতে এসেছিলেন তিনি। এসে জানতে পারেন হাতপাতালে বহুদিন ধরে এক্সরে পেপার স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে আছে এ সেবা। এদিকে ডেলিভারির সময় পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে বসিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন হতদরিদ্র কৃষক মহিউদ্দিন। গাইনি ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালে নেই সিজারের সুবিধাও। এভাবে দিনের পর দিন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এক্সরে, ডেঙ্গু টেস্ট, প্রসূতি মায়েদের সিজারসহ ছোট-বড় সব ধরনের অপারেশন রোম।
এ ছাড়া ডাক্তারদের অনিয়মিত আসা-যাওয়া, ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করানো, দালালদের দৌরাত্ম্য, তদারকির অভাবসহ নানা সমস্যা জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডেঙ্গু টেস্টের কিট ও এক্সরে পেপার শেষ এবং সার্জারি ডাক্তার চলে যাওয়ার পর শূন্য পদের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দখল করে রেখেছে একটি দালাল চক্র। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেন দালালরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিজন রোগীকে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন পায় দালালরা গাইণী ডাঃ রা নিয়মিত রোগী দেখেন প্রাইভেট হসপিটালে।

সাংবাদিক মোরশেদ আলম এর সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, ‘হতদরিদ্রদের চিকিৎসা সেবার শেষ আশ্রয়স্থল হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’। এই হাসপাতালে যারা আসেন বেশিরভাগই দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করেন। হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হলে তাদের আর সামর্থ্য নেই যে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার। পটিয়ার মত একটি উপজেলায় রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক। তিনি ডাক্তারদের অবহেলা ও রোগীদের সেবা না দিয়ে ক্লিনিকমুখী করানো, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদারকিতে গাফিলতি, দালালদের দৌরাত্ম্য, হাসপাতাল সিন্ডিকেট সহ ডাক্তারদের নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত না থাকাকে অনিয়মের বড় কারন হিসেবে দেখছেন। দ্রুত এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকতাদের প্রতি তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পটিয়া এলাকাবাসীর একটাই চাওয়া পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম ও দালাল মুক্ত হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি