মোস্তাক আহমেদ বাবুর রংপুর।
রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলায়,স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে( ৩) বছরের স্বশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নীলফামারী-২ এর বিচারক।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় ঃ নীলফামারী জেলার সাজাপ্রাপ্ত হলেন,চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাজী নিবাস কাশারা পাইকপাড়া এলাকার মোঃ বেলায়েত হোসেন এর ছেলে মোজাম্মেল হক। মামলার বাদিনীর প্রদত্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণে মামলাটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,নীলফামারী-২ এর বিচারক এ,বি,এম,গোলাম রসুল মামলার আসামী মোঃ মোজাম্মেল হককে ৩ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ১লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডের আদেশ দেন। মামলার নথি অনুযায়ী,গত ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট মামলার বাদিনীর সাথে দন্ড প্রাপ্ত আসা- মী মোজাম্মেল এর ইসলামী শরিয়ত ও রেজিষ্ট্রী কাবিননামা মুলে বিয়ে হয়। বাদিনী সরকারী চাকুরীজীবী হওয়ার বিয়ের পর থেকেই মামলাটির দন্ড প্রাপ্ত। আসামী মোঃ মোজাম্মেল হক,মামলার বাদিনীর বেতনের টাকা পয়সা খরচ করে, ধ্বংস করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোজাম্মেল হক বাদিনীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে। ফলে বাদিনী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নীলফামারী-২ এ পি -টিশন ১৭৪/২০২১ মামলাটি দায়ের করে। এদিকে,মামলাটি আদালত গ্রহণ করে জুডিসিয়াল তদন্ত করার নির্দেশ দিলে জুডিসিয়াল তদন্তে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর যৌতুকের দাবীতে বাদিনীকে মারপিটের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাদিনীকে ভবি -ষ্যতে মারপিট না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাদিনীর সাথে স্থানীয় আপোষ মিমাংসা করলে বাদিনী স্বামীর ঘর সংসার করার মানসে মামলাটি প্রত্যারের জন্য আদালতে আবেদন করে।
উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোজাম্মেল হক পুন:রায় ৫লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারপিট করলে, বাদিনী নতুন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবারও একটি মামলা দায়ের করে,(যার নম্বর ৬৭/২৩) ।
এ ব্যাপারে ঃ রাষ্ট্র পক্ষ্যের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,নীলফামারী-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল পিপি), গোলাম মোস্তফা সজিব আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।