1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ শিক্ষক রাসেল বিরুদ্ধে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতাকে বহিষ্কার ধুনটে যমুনা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন মনির শহিদ হিফজুল কোরআন ও নূরানী মাদরাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের শিশুসহ নিহত ২, আহত ৩ ডুমুরিয়ায় পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প ওসি মীরসরাইয়ের অভিযান , চার হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার লোহাগড়ায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির পরিচালনা পর্ষদের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন কালিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর নড়াইলের প্রভাবশালী হিন্দু জমিদারীর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কালিশঙ্কর রায় ওয়েলফেয়ার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ গ্রহণ প্রসঙ্গে

পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ শিক্ষক রাসেল বিরুদ্ধে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ শামীম হোসাইন

পিরোজপুরের নেছারাবাদে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. রাসেল মাহামুদ নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার ১০ নম্বর বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত ৭ মে বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় ১৫ মে। ওই পরীক্ষার ইংরেজি ক্লাস নিতেন সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল মাহমুদ। পরীক্ষার ফলাফলের ঘোষণার অংশ হিসেবে একাধিক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতায় আশানুরূপ রেজাল্ট না করায় চতুর্থ শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে মারধর করেছেন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা জানান। এ ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষকের বিচার চেয়ে সন্ধ্যার পরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।

চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া তামান্না আক্তার অভিযোগ করে বলেন, স্যার বরাবরই বদমেজাজের। সব সময় ক্লাসে বেত নিয়ে আসে। আজ হঠাৎ ক্লাসে ঢুকেই ক্লাসের সবাইকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। আমাদের ক্লাসের সকল সহপাঠীরা বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বলে ডাক্তার দেখিয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তারের মা জাকিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বয়সের তুলনায় অনেক উঁচু লম্বা হয়েছে। আমরা তার গায়ে কখনও হাত দেইনি। পরীক্ষা সে ফেল করেনি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেও মেয়েটাকে গরুর মতো পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। যদি অপরাধ করে থাকে অভিভাবকদের ডেকে বিচার দেবে আমরা শাসন করব। কিন্তু সবাই তো আর খারাপ রেজাল্ট করেনি ক্লাসের সকলকে বেদম বেত্রাঘাত করেছে। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই।

শিক্ষক মো. রাসেল মাহামুদ বলেন, আমি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ইংলিশ ক্লাস নেই। প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় তারা আশানুরূপ রেজাল্ট করেনি। অনেক কষ্ট করে তাদেরকে ইংরেজি পড়াই। রেজাল্ট ভালো হয়নি বিধায় আমার মাথা ঠিক ছিল না। তাই ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীদের একটু পিটিয়েছি। ওদেরকে একটু শাসন না করলে তারা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের শিশুদের গায়ে বেত্রাঘাত করা সমীচীন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পেয়েছি। সেখানে বাচ্চাদের মারধর করার কোনো বিধান নেই। সে দিক থেকে মারাটা আমার একদম ঠিক হয়নি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসা. শিরিন আক্তার বলেন, আমি চিকিৎসার কারণে ছুটিতে আছি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিরর বাচ্চাদের মারার কথাটি আমি শুনেছি। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মারা ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বলেছি আমরা অভিভাবক সমাবেশে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা সবাই বিক্ষোভ না করে বাড়িতে চলে যান।

নেছারাবাদ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাতের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি