1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সাংবাদিক ফারুক মুনিরের পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান দগ্ধ শিশুদের বাঁচানো সেই সাহসিকা নারী শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী আর নেই আন্তর্জাতিক লায়ন্স কনভেনশনে নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ গভর্নর আসেফ বারী টুটুল আক্কেলপুর ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অমর একুশে জুলাই -শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানালেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাটহাজারীতে সদস্য সংগ্রহ জনসমাবেশে মীর হেলাল ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারেক রহমান রাউজানে জমিয়ত শিক্ষাবোর্ডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান’ কামারখন্দ উপজেলার ফারিয়ার সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো: মশিউর রহমান (লিখন) আজ ছিল ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের সলো ফ্লাইট ট্রেনিং (Solo Flight Training) নিশান এনজিওর ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রাহকদের সংবাদ সম্মেলন

ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা। খুলনার ডুমুরিয়া এক সময়ে গ্রামে গ্রামে বয়স্ক বুড়ো- বুড়িদের হুক্কা খেতে দেখা যেত বিশেষ করে কৃষকদের দেখা যেত জমি চাষের সময়, চারা রোপনের সময় একটু বিশ্রম নেওয়ার সময় গাছ তলায় বসে মনের আনন্দে গান গাইতো এবং হুক্কা টানতো। বর্ষাকালে যখন মানুষ ঘরের বাহিরে যেতে না পারতো তখন ঘরের বারান্দায় বসে এমন কি শীতকালে যখন খুব শীত পড়তো তখন লেপ- খাতা গায়ে দিয়ে হুক্কা টানতে দেখা যেত। এমনকি গ্রামের মোড়ল, মাতুববর, জমিদাররা যখন বিচারে বসতে তখন বিচার কার্যপরিচালনার সময় হুক্কার পাইপ টানতো আর সকলের কথা বার্তা শুনে তাদের রায় ঘোষণা করতো। তখন তামাক হুক্কায় ভরে টানাটাই ছিলো তখনকার সমাজে সমাজপতিসহ প্রজাদের মধ্যে বিশাল প্রচালন। গ্রাম বাংলার সেই পুরনো প্রথা আজ আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। গ্রামে গ্রামে বুড়োদের হুক্কা খাওয়া নেশা করার একমাত্র প্রথা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি হুক্কা খাওয়ার সরঞ্জাম যেন বাড়ির একটি শোভা ছিল। যার বাড়িতে যত বেশি ঐসব সরঞ্জাম থাকতো, এলাকা জুড়ে তার পরিচিতি থাকতো তত বেশি। এতে করে শোভা পেত তার বাড়ির বৈঠকখানা। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই বৈঠক খানাও আর নেই, নেই হুক্কার সরঞ্জাম। সবকিছুই এখন বিলুপ্তি হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই লোকজন এখন অন্য নেশায় মত্ত। তামাকের মূল্যবৃদ্ধি, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে। সময় ও অর্থ বাঁচাতে কৃষকদের মাঝেও গ্রামের বুড়োদের আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। তবে হুক্কা খাওয়া প্রথা বিলুপ্ত হতে চললেও এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের মঠ মন্দির প্রহিত‌ অনেক বয়স্ক বুড়োরা। মাঝে মধ্যে এখনও এখানে অনেককে হুক্কা খাওয়ার মতো এমন চিত্র দেখা যায়। হুক্কা টানতে বসে মতিয়ার রহমান গাজী বলেন, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে হুক্কা টেনে গা গরম করছেন। এছাড়া আগের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তিনি এখনো মাঝে মাঝে হুক্কা খেয়ে থাকেন বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি