1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
প্রশংসায় ভাসছে সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শ্রীমঙ্গলে ঘরের ছাদে কমলা চাষ করে সফল ডা: সুহিত রঞ্জন নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেছারাবাদে এক কৃষক লোককে নিয়ে ব্যবসায়ির নানা অপপ্রচার বগুড়ায় হোটেল ম্যানেজার হত্যার আসামী আলিফ শেখ গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান নবগঠিত জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৪ ঠাকুরগাঁওয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভ গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১

প্রশংসায় ভাসছে সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ আজগার আলী জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শাসন করা শিক্ষকের বারণ। এখন শিক্ষকের হাতে শাসনের লাঠি নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের শ্রদ্ধার সম্পর্কটাও অনেকটা মিঠা হয়ে গেছে।
প্রশংসায় ভাসছে সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক গাজী। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে ২০১৪ সালে যোগদান করে দীর্ঘ ১০ বছর শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন কর্মচঞ্চল, পরিশ্রমী, ন্যায়-নিষ্ঠাবান এবং চৌকস প্রধান শিক্ষক। তিনি এই স্কুলে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। তার সততা ও নিষ্ঠার শিক্ষকদের মাঝে বেড়েছে কাজের স্পৃহা ও দায়িত্বশীলতা। তিনি অফিসে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নতি করণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। তবে তিনি বলেন অন্যায় এবং কাজের ক্ষেত্রে আমি আপোষ করতে রাজি না। শিক্ষকরা আরো আন্তরিক হলে, পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর পড়ালেখার সার্বিক তত্ত্বাবধান করতে সমর্থ হলে একজনও ফেল করবে না। সেজন্যে শিক্ষককে সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায় এড়ানোও সম্ভব নয়। বাবা কিংবা মা অথবা দুজনেই যদি তাদের পরীক্ষার্থী সন্তানের পড়ালেখার অগ্রগতি কিংবা অবনতি পর্যবেক্ষণে কিছু সময় ব্যয় করেন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাহলে একজন শিক্ষার্থী অতিরিক্ত পরিশ্রমী ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হবে, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। পরীক্ষার ফলে তার প্রতিফলন ঘটতে বাধ্য।
তিনি আরো বলেন ২০২৪ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। এবার মোট ১৩৩ জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে এ প্লাস ৫৪ জন, এ ৬৬ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি ১ জন হয়ে শতভাগ পাস। আমাদের প্রত্যাশা, একজন পরীক্ষার্থীও যেন পরীক্ষায় অকৃতকার্য না হয়। সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। স্কুল কমিটির সভাপতি নাজনীন আরা নাজু বলেন, উনি সৎ, নীতিবান, কর্মঠ, শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব একজন চৌকস প্রধান শিক্ষক। সততা, নীতি ও আর্দশের ক্ষেত্রে উনি আপোষহীন। উনার দায়িত্বশীলতার জন্য এবং শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব আচরণের জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালবাসা অফুরান। তিনি এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে শিক্ষার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক খুব ভালোভাবেই জানেন যে উনি একাধারে সৎ, নীতিবান, কর্মঠ, শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব একজন চৌকস প্রধান শিক্ষক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে এমন প্রধান শিক্ষক এখন খুবই প্রয়োজন। উনারা হাতে আলোকবর্তিকা নিয়ে আসেন সমাজ, জাতি ও দেশের অগ্রগতির জন্য। আমরা এমন একজন প্রধান শিক্ষক পেয়ে গর্বিত। একজন সৎ, কর্মঠ, নিরহংকারী, দক্ষ ও মানবিক প্রধান শিক্ষক হিসেবে ইতোমধ্যে যিনি অভিভাবকদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সততা সাহসীকতার আর এক নাম সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গাজী।
তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। তারপরও তাঁর সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাঁকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়।নিরলস পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়। এই মানুষটি সম্পর্কে যত ইচ্ছা ততই লেখা যাবে। কেউ যদি মনে করেন প্রধান শিক্ষককে খুশি করার জন্য এই লেখা, তাহলে ভুল। যে মানুষটি ভালো, তাকে ভালো বলতে না পারার মত দুঃখ সবাই পুষে রাখতে পারে না। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী বলেন আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। তিনি সরকারের গৃহিত সকল মহতী কাজে সহযোগিতার আহবান জানান। আমার উপরে অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছি। অভিভাবকদের সন্তানদের নিরাপদ ও মানসম্মত লেখা পড়ার জন্য। যাত্রা শুরুতে চারশত প্লাস শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বারশত প্লাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে মান সম্মত লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিদ্যালয়টি জনকল্যাণকর ভূমিকা পালন করবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। তারা এরকম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে আনন্দিত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী বিদ্যালয়ে আসার আগে চৌদ্দ বছরে ২১ জন এ প্লাস পেয়েছিল। গড় ১.৫% ফলাফল ছিল। পূর্বের ধারা অব্যাহত থাকলে এই এব বছরের ফলাফল করতে সময় লাগতো ৩৬ বছর। ১৯৬৯ সালের প্রতিষ্ঠীত নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। অভিভাবকদের অভিমত বিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষকের চক্রান্ত না থাকলে প্রধান শিক্ষক সবাইকে নিয়ে আরও ভালো ফলাফল করতে পারতো বলে বিশ্বাস। অভিভাবকরা আরও বলেন প্রশাসনের সুদৃষ্টি থাকলে নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয়করন হতে বেশী সময় লাগবেনা।
খুলনা বিভাগের সকল বে-সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়গুলোর সেরাদের মধ্যে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এস.এস.সি ২০২৪ এ শতভাগ কৃতকার্য হয়ে বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়ে অভাবনীয় সেরা সাফল্য অর্জন করায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্যাণার-ফেস্টুন ও বাদ্য সহকারে বিশাল আনন্দ র্যা লী করেছে সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। সোমবার ( ১৩ মে ) সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের সফলতার নায়ক গর্বিত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী’র সভাপতিত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যা লী বের হয়। র্যা লীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা এবং শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সকাল হতেই বিদ্যালয়ের এস.এস.সি সকল কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা মিষ্টি নিয়ে একে একে ভিড় জমায় প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে। বয়ে যায় মিষ্টির বন্যা। সফলতা অর্জনের পিছনে কার বেশি অবদান এবিষয়ে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এস.এস.সি ২০২৪ এ কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, অভাবনীয় সাফল্য অর্জনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক গাজীর অবদান সবচেয়ে বেশী। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী যোগদানের পর পূর্বের সকল খারাপ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে এবং শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে বারবার আলোচনায় বসে অভিযোগ ও সমস্যার সমাধান করে এই সফলতা অর্জনে ভূমিকা রেখে বিদ্যালয়টিকে সাফল্যের উচ্চতর সিঁড়িতে পৌছে দিয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রোটারীয়ান নাজনীন আরা নাজুর পরামর্শে বিদ্যালয়টিকে মনোরম পরিবেশ ও শিক্ষা বান্ধব বিদ্যালয়ে পরিনত করেছেন। খেলা-ধূলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ সকল ক্ষেত্রে সেরা পুরস্কার লাভ করে আসছে। এই দিয়ে পরপর ৯ বার সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
আনন্দ র্যা লী চলাকালে সড়কে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু হাত নেড়ে র্যা লীকে স্বাগত জানান এবং ঐতিহ্যবাহী নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রোটারীয়ান নাজনীন আরা নাজু ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে আনন্দ র্যা লীতে স্বাগত জানিয়েছেন।
বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যা লীতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ ওবায়দুল্লাহ, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সালেহা আক্তার সুমি, নন্দিতা রানী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রিজিয়া খাতুন, দাতা সদস্য মোঃ আতিয়ার রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ তৈবুর রহমান, এ এইচ এম শামীম পারভেজ, নাজমুল লায়লা বিথী, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ মনজুরুল হক, পিটিএ সভাপতি জিএম ওয়াহিদ পারভেজ, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিমুল ইসলাম, আবুবক্কার সিদ্দিক, মাওলানা মোঃ আক্তারুজ্জামান, কবির আহমেদ, শিক্ষক এম এম নওরোজ, শামীম পারভেজ, দেবব্রত মন্ডল, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, শাহিনা পারভীন, রোজিনা বুলি, রাবেয়া খাতুন, লিপিকা মন্ডল, নাজমা সুলতানা, আমিনা খাতুন, সাদিয়া আফরিন প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি