বরিশাল প্রতিনিধি/
সর্বপ্রথম ১৭টি জেলা নিয়ে গঠিত সেই আগাবাকের খানের স্মৃতি বিজারিত বার আউলিয়াদের পূর্ণভুমি বাকেরগঞ্জ জেলা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট নিরঙ্কুশভাবে সরকার গঠন করলেও উন্নয়নের দিক থেকে এই বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছিলো উন্নয়নবঞ্চিত, অবহেলিত এবং বিপর্যস্ত। তার কারণ হিসেবে জানা যায়, জাতীয় পার্টির রতনা-রুহুল আমিন হাওলাদার এই দম্পত্তিদের দখলে ছিল এই আসনটি।সরেজমিনে জানা যায়,নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিককে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলেও কতিপয় হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতাদের ৬০% ও ৪০% ভাগাভাগির স্বার্থে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ছাড় দিতে হয় এই আসনটিকে। নবম জাতীয় সংসদে রুহুল আমিন হাওলাদার দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী বেগম নাসরীন জাহান রতনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তার স্ত্রী নাসরীন জাহান রতনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় ৬০% আর ৪০% ভাগাভাগী। শুধু তাই বলেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তাদের নেতৃত্বে সুদীর্ঘ ১৫ বছরটি ছিলো দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব। অটোরিক্সা থেকে শুরু করে মাহেন্দ্রা ও পরিবহন সহ এমন কোন সেক্টর ছিল না যে তাদেরকে চাঁদা দিতে না হতো। আর এই চাঁদার টাকা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ যেত মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার পকেটে।শ্রীমন্ত খাল দখল,জেলখানার খাল দখল,সরকারি জমি জবরদখল, ইটভাটা জবরদখল, টেন্ডার বাজী,টিআর বাণিজ্য,কাবিখা বাণিজ্য, সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগ বাণিজ্য থেকে কোটি,কোটি টাকা আত্মসাৎ এর
অভিযোগ পাওয়া যায় মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, সাবেক সংসদ নাসরীন জাহান রতনার বিরুদ্ধে।এছাড়াও নানান কিছিমের অভিযোগ পাওয়া যায় মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে।নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল হাফিজ মল্লিক তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও অন্যদিকে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তার পত্নী বেগম নাসরীন জাহান রত্না এমপি নির্বাচিত হবার পর থেকই শুরু হয় মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের লুটপাট।আর সেই সময় থেকেই বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য মাঠ ছাড়েননি। তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকান্ডের তাহার অংশগ্রহণ ছিল সবার কাছে চোখে দেখার মত। আর এই কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার ৬০% ও ৪০% আশায় নিজের স্বার্থকে হাসিল করার উদ্দেশ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম চুন্নকে ভুল বুঝিয়ে দলের বিপক্ষে প্রার্থী করে বুনতে থাকে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল।কিন্তু সেই সকল ষড়যন্ত্র জালকে ছিন্ন করে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এবং উন্নয়ন বঞ্চিত বাকেরগঞ্জের সর্বসাধারণের বিপুল ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে গত ৭ জানুয়ারী মেজর জেনারেল (অবঃ) আলহাজ্ব আবদুল হাফিজ মল্লিককে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। আর তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই প্রথম সংসদ অধিবেশনে বাকেরগঞ্জকে জেলা হিসেবে ফেরত চাওয়া সহ বিপর্যস্ত বাকেরগঞ্জকে পুনর্গঠনের জন্য মাননীয় স্পিকার ও সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীবর্গদের উন্নয়নের কথা বলার বক্তৃতা ছিল সকলের চোখে দেখার মত। আর তার এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বাকেরগঞ্জের একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপায়ে অপপ্রচার ও প্রভাগন্ডা চালিয়ে আসছেন বলে এলাকাবাসীর বিভিন্ সূত্রে জানা যায়।সূত্র আরো জানায়, গত ৮মে অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্যের জন্মভূমি ফরিদপুর ইউনিয়নের মঙ্গলশী যান ভোট দেওয়ার জন্য।তিনি এবং তার স্ত্রীর অসুস্থতা এবং সময় স্বল্পতার কারণবশত ভোট কেন্দ্রের কক্ষে আলোক স্বল্পতার জন্য ভোট প্রদান করিলে সেই ভোট প্রদানের ভিডিও চিত্র বিভিন্ন সামাজিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি তিনি গভীর ষড়যন্ত্র, ভিত্তিহীন,দুঃখজনক ও অতিরঞ্জিত বলে জানান। তিনি একজন জনগণের ভোটের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে তার নির্বাচিত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সচিবালয়ের দারস্থ হচ্ছেন বিপর্যস্ত বাকেরগঞ্জকে একটি স্মার্ট বাকেরগঞ্জ গড়ে তোলার জন্য।আর এই কারণেই তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের একজন আস্থাভাজন সংসদ সদস্যকে হেয়প্রতিপন্ন কারায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হইতেছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়।