নওগাঁর মান্দায় মারধর ও মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক অসহায় বাবা। জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় মারধরের শিকার হন বৃদ্ধ এই দম্পতি। ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মান্দা থানায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। ভুক্তভোগীরা হলেন ইয়াকুব আলী মোল্লা (৬০) ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৫)। তারা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্তরা হলেন নির্যাতনের শিকার ইয়াকুব আলীর ছেলে বজলুর রশীদ (৩৮) ও পুত্রবধূ রুপা বেগম ওরফে রুনা (২৮)।
ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী মোল্লা বলেন, ‘আমার নিজ নামে থাকা জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য ছেলে বজলুর রশীদ বেশ কিছুদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল। এর আগেও আমাকে মারধর করেছে। একই সঙ্গে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল।’ ইয়াকুব আলী মোল্লা আরও বলেন, একই দাবিতে গত সোমবার (১৫ মে) সকাল ৭টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে ছেলে বজলুর রশীদ ও পুত্রবধূ রুনা। ছেলে হাত থেকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী নুরজাহান বেগম এগিয়ে এলে তাকেও একইভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়।’ স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ ইয়াকুব আলীর কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করছিল তার ছেলে বজলুর রশীদ। গত সোমবার একই বিষয় নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধরে আহত করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।