বিশেষ প্রতিনিধি : প্রশান্ত কুমার (শান্ত) নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
বগুড়ার নন্দীগ্রামের রনবাঘা থেকে চুরি হওয়ার ১৮দিন পর ধান বোঝাই ট্রাক চোর চক্রের ৩ জনকে ঢাকা আশুলিয়া থানার জিরাবো ফুলতলা থেকে ট্রাক চালকসহ আরো দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত আসামিদের তাদের দেওয়া তথ্য মতে জামালপুর সদর থানা এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও পাবনা জেলার চাটমোহর থানা এলাকা থেকে ২৬৫ বস্তা ধান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ১৭মে দুপুর ১২টায় নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন এক প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করেন। উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জামালপুর জেলার মেলান্দাহ থানার হাজরাবাড়ি এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে ট্রাক ড্রাইভার সামিউল হক (৪২)। সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার বালিয়াকান্দি কড়ইতলা এলাকার নজ্জেশ ওরফে নরশেদের দুই ছেলে মাসুদ (২৯) ও মামুন (২৬)।
জানা গেছে গত ২৯এপ্রিল নাটোর জেলার সিংড়া থানার কৈগ্রাম এলাকার ধান ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াজেদ আলী নন্দীগ্রামের রনবাঘা বাজার থেকে ২৬৫ বস্তা ধান যার ওজন ৫০১ মন এবং যার আনুমানিক মূল্য সাত লক্ষ টাকা। ব্যবসায়ী ধানগুলো ক্রয় করে দিনাজপুর জেলার সোনালী অটো রাইস মিলে বিক্রয় করার জন্য একটি খালি ট্রাক ভাড়া করে, যার রেজিঃ নং-চট্টো-মেট্রো ট-১১-৪৩৩৭।
রনবাঘা বাঁশের ব্রীজের সামনে থেকে ট্রাকটি লোড করে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করে ট্রাক চালক মোঃ আল মুজাহিদ (ফিরোজ)। পরের দিন ৩০এপ্রিল সকাল অনুমান সাত ঘটিকায় ধান ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াজেদ আলী ট্রাক ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পায়। তখন উক্ত ব্যবসায়ী সোনালী অটো রাইস মিলের মহাজনের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে জানতে পারে ট্রাকটি তার রাইস মিলে পৌঁছায় নাই। পরবর্তীতে তারা নিজেরা অনেক খোঁজাখুজি করে উক্ত ধানের কোন সন্ধান না পেয়ে ১৬মে নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলাটি রুজু হওয়ার পরে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ধান উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সুনিদিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৬মে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনাটি স্বীকার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আলাদলতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।