মোঃ আব্দুল আজিজ
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে ট্রাকের বহর নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাউর রহমান রোজের সমর্থনে মিছিল করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন। আজ রবিবার বিকালে এই ট্রাকের বহর নিয়ে আব্দুর রহিম পাকন ও প্রার্থী মেজবাউর রহমান উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মেজবাউর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে মেজবাউর রহমানের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠে। মেজবাউর রহমান ও আব্দুর রহিম সহোদর ভাই।
জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাকি বিল্লাহ (আনারস) ও জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মেজবাউর রহমান (ঘোড়া) প্রার্থী হন। গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থীরা। তবে বাকী বিল্লাহ অন্য প্রার্থীর প্রভাবে কর্মী সংকটের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে প্রচারণা বন্ধ করে দেন। এতে বাকি বিল্লাহর কর্মী সমর্থকরা মেজবাউর রহমান রোজকে সমর্থন দেন। এরপর থেকেই বাকি বিল্লাহ ও মেজবাউর রহমানের কর্মী সমর্থকরা একাট্টা হয়ে গোলাম হাসনাইনের বিপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন। এ অবস্থায় মেজবাউর রহমানের কর্মী সমর্থকরা প্রতিদিনই নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি সম্মিলিত টিশার্ট পরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। রবিবার দুপুরেও কয়েক’শ কর্মী-সমর্থক ১০-১৫ টি ট্রাকে চড়ে শোডাউন ও মিছিল দেন। এতে নেতৃত্ব দেন মেজবাউর রহমানের বড় ভাই ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে মেজবাউর রহমানকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন বলেন, আচরণ বিধিতে নিষেধ থাকলেও মিছিল তো করতেই হয়। হেঁটে তো আর মিছিল করা যায় না। তাই ট্রাক নিয়ে মিছিল দিচ্ছি। আর মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অন্য সবাই নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে। তাই আমিও চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রানিং কর্মকর্তা নাজমুন্নাহার বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ট্রাকের বহরের মিছিলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এটা সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে