স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জ জেলাধীন দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের বালিজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহানা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল কর্তৃক একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে এখন প্রতারনার প্রতিবাদে এবং বিয়ে করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঐ শিক্ষিকা।
সোমবার দুপুর ২টায় নিজ উদ্যোগে সুনামগঞ্জ শহরের পৌরবিপণীতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষিকা বলেন, তিনি উপজেলার বোগলা ইউপির একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীর সুবাদে সাবেক ঐ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল তার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ২০২০ সালে তাকে বার বার ফোনে বিয়ের আশ^াস দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং ২০২১ সালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে বলে শিক্ষিকাকে নিয়ে সিলেট হতে বিমানযোগে কক্সবাজারের সী আলিফ নামে একটি হোটেলে স্বামী স্ত্রী হিসেবে রুম নিয়ে রাত্রিযাপন করে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে। এভাবে গত তিনবছর তাকে ভোগ করে এখন ঐ লম্পট চেয়ারম্যান শিক্ষিকার নম্বরে এখন বøক দিয়ে রাখে। শিক্ষিকা বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি সহ বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এদিকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে শিক্ষিকার কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে শিক্ষিকা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঐ চেয়ারম্যান আরিফৃুল ইসলামের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আ্ইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানান। এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষিকা ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম জুয়েল জানান,আমি দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি তাই একটি পক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।