আজ ২৭শে মে সোমবার, রেমানের মোকাবিলায় সমস্ত রকম সতর্কতা জারি করলেন ও মোকাবিলা বিপর্যয় ব্যবস্থা তৈরী রাখলেন,
দীঘায় রাতভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে, আর সাথে সাথে সমুদ্রের ঢেউ আছরে পড়ে পাড়ে, প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার সতর্কতা জারি করছেন পর্যটকদের উদ্দেশ্যে কোনোভাবেই সমুদ্রের সামনে না যাওয়া , নিজেদের বাসায় ফিরে যেতে, যতরাত বাড়ে সমুদ্র উপকূল আরো উত্তাল হয়ে ওঠে, সতর্ক দৃষ্টিতে মোকাবিলা বিপর্যয় দল নজর রাখছেন,
পাশাপাশি হলদিয়া পোস্ট গার্ড বিপর্যয় মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে। সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুরো জেলা সর্বত্র বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রকোপে রাস্তায় বেশ কিছু গাছ উল্টে পড়ে,
হলদিয়া চাউলখোলা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমানের দাপটে বড় বড় বটগাছ উপরে রাস্তার উপর পড়ে যায়, সমস্ত কিছু যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, এতটাই ঝড়ে তীব্রতা ছিল যে বেশ কিছু বাড়ির ও ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বেশ কিছু মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার মাইকিং করে বাকীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার কথা বলেন,কোনো রকম বড় দুর্ঘটনা না ঘটে এবং নিরাপদে থাকতে পারে তার জন্য তারা সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে বার্তা দিতে থাকেন,
তারা জানান উপপুন ও যশের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে, হলদিয়া পুরো কর্তৃপক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা টিম আগে থেকেই তৈরী রেখেছেন , নদী তীরের ওয়ার্ড গুলিতে কাজ শুরু করেছেন, তারা জানান যশের মত যদি পুনরায় রেমান বিপর্যয় ঘটায়, তার জন্য তারা আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
এলাকায় বিপর্যয় টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।,
তাহারা দীঘা উপকূল এলাকার মানুষদের ও হলদিয়া বন্দর এলাকার মানুষদের যথাযথভাবে সরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।, আমরা যেখানে আপনাদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করছি সেই সকল জায়গায় আগে থেকে আপনারা সরে যান।
এদিকে রাস্তায় যে সকল গাছ উপড়ে পড়ছে সাথে সাথে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম চেষ্টা করছেন সেগুলি কেটে সরিয়ে ফেলার। সমস্ত রকম ভাবেই প্রশাসন তৈরি হয়ে রয়েছেন। সারাদিন ঝড়-বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকার জলমগ্ন এবং সাধারণ মানুষ বিপাকে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস