1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
শ্যামনগরে বাধে ফাটল, ভেঙেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও চিংড়ি ঘেরগুলো ডুবে একাকার - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দিনাজপুরে সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত সাংবাদিকের সাথে অ্যাড. বিশুর অশোভন আচরণ : ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম গণমাধ্যমকর্মীদের রূপসায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ‎ দুমকি উপজেলায়, কৃষকের ভর্তুকি মূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়ের পাশে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র অভয়ার প্রতিবাদের এক বছর পর, ডাক্তারদের হেনস্থা ও কেস দেওয়ায় বউবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে বানিয়াগাঁতী সীজনাথ একাডোরীতে অভিভাবক সমাবেশ টাঙ্গাইল জেলা গ্রন্থাগারে পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বিইউএফটিআই এমইউএন -২০২৫ শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি দলের খেতাব জিতলো গোবিপ্রবি

শ্যামনগরে বাধে ফাটল, ভেঙেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও চিংড়ি ঘেরগুলো ডুবে একাকার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দমকা হাওয়াসহ বিরতিহীন বৃষ্টি হচ্ছে। শহরে বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি হলেও ইউনিয়ন গুলো গতকাল মধ্য রাত থেকে বিদ্যুৎহীন আছে। মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ন ভাবে বন্ধ আছে।
রাত ৩টার পর থেকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি কমে গেলেও সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে আবার দমকা বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে দমকা বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছগাছালি ভেঙে পড়েছে। একাকার হয়ে গেছে চিংড়ি ঘের।

সাতক্ষীরা দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশুসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার পর থেকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি কমে গেলেও আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে আবার দমকা বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের রাস্তাঘাটে কোনো লোকজন নেই। কোনো দোকানপাট খোলেনি সকাল ৯টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগঙ্গালিনী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে কয়েকটি কাঁচা ঘর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে নীলডুমুর যাওয়ার সড়কের দুপাশে চিংড়ি ঘেরের আইল ভেঙে ঘেরগুলো একাকার হয়ে গেছে।

এছাড়া শ্যামনগর থেকে কালীগঞ্জগামী সড়কের দুপাশের বেশ কিছু গাছগাছালি ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে।

কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, তার ইউনিয়নে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ির ছাউনি উড়ে গেছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশের একাধিক টিম শ্যামনগর ও আশাশুনিয়া উপজেলায় কাজ করছে। তারা সারারাত ধরে শ্যামনগর কালীগঞ্জ সড়কের উপরে ভেঙে পড়া গাছগাছালি সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছেন।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন জানান, তাদের ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি, গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া ও পারসেমারিসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নিয়ে বাঁধ রক্ষা চেষ্টা চলছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম জানান, কোথাও কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও পাশাপাশি গাছ গাছালি ভেঙে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে কয়েকটি এলাকার চিংড়ি ঘেরের জমি একাকার হয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি