ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার বেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটা ও সাংবাদিক লাঞ্ছনার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে হরিপুর উপজেলার ২ নং ইউনিয়নের বেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ৪/৫ টি মেহগনিসহ অন্যান্ন গাছ কেটে উক্ত স্থানে প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে উক্ত বিদ্যালয়ের উত্তর অংশে প্রাচীরের ভিত্তি প্রস্তরের স্থানে ৪/৫ টি মেহগনিসহ অন্যগাছের গোড়ার অংশ বা শিকর এখনো বিদ্যমান এবং স্থানীয় লোকজন ছাত্র ও শিক্ষক এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত ৫ জুন ২০২৩ ইং বেলা আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় জাতীয় দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ আব্দুসসবুর কাদেরী দুলাল উক্ত বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গাছকাটার বিষয় সাক্ষাৎকার গ্রহন করতে যান। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই সহকারী শিক্ষক বেলুয়া গ্রামের আফতাবউদ্দিনের পুত্র শরিফ উদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ শুরু করেন।শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন তুলে বলে আমি বড় বড় সাংবাদিক জন্ম দেই।তুমি আমাকে চিন আমি কত বড় নেতা এসময় অপর এক সহকারী শিক্ষক বেলুয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের পুত্র মোঃ স্বপন চিৎকার দিয়ে বলে গত বছর আমাদের স্কুলের ৭ টা এ প্লাস পেয়েছিল কোন বেটা শালা সাংবাদিক রিপোর্ট করে নাই।এ বছর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে এবছর বেটারা শালারা রিপোর্ট করেছে।সে সব সাংবাদিকের মা বোনের ইজ্জত হরণ করবে বলে বার বার খুব নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে।যে ভাষা একজন শিক্ষক নির্জনেও মুখে উচ্চারণ শোভা পায়না।
এক পর্যায়ে শরিফ উদ্দিন প্রতিবেদকের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হলে সঙ্গীয় থাকা মশালডাঙ্গী গ্রামের মুনিরুদ্দিন তা প্রতিহত করে।এবং সেখান থেকে সুকৌশলে কোন রকম পালিয়ে আসেন।এ সময় শরিফ চিৎকার দিয়ে বলে গাছ কাটার সংবাদ প্রকাশ করা হলে তোমার খবর খারাপ করে দেবো।উক্ত প্রতিবেদক মোঃ আব্দুস সবুর কাদেরী দুলাল জীবনের নিরাপত্তা ও এর প্রতিকার নামমাত্র শিক্ষক
ক্লাস না করেই শুধু হাজিরা খাতায় সহি দিয়ে বেতন উত্তোলন কারী উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে হরিপুর উপজেলার অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর নিষ্ঠাবান নেতা নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম পুষ্পের কাছে গেলে তিনি বলেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন।
উপায়ান্তর না পেয়ে উক্ত প্রতিবেদক গত ৯ জুন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান মহোদয় বলেন অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলার সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ কাইয়্যুম পুস্প বলেন আমাদের হরিপুর উপজেলার দুই যুগ আগের দৈনিক ইত্তেফাক সহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকের একজন সিনিয়র যোগ্য অন্যায়ের প্রতিবাদী সাংবাদিকের সাথে এরকম আচরণ খুব নেক্কারজনক ও খুব দুঃখজনক।কারণ সাংবাদিককদের জাতির দর্পণ বা আয়না এবং দেশ রক্ষার ৪ টি স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ নাম্বার স্তম্ভ সাংবাদিক।