মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোর
নাটোরের লালপুর থানার এএসআই ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আইজিপি অফিসে অভিযোগ করেছেন উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড গন্ডবিল গ্রামের আরমান চৌকিদারের ছেলে বকুল হোসেন।
মঙ্গলবার(১১ই জুন -২০২৪)অনলাইন ইমেইল এর মাধ্যমে আইজিপি অফিসে এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে,এবং সদয় অবগতির জন্য অভিযোগের অনুলিপি মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,মাননীয় ডিআইজি,রাজশাহী রেঞ্জ,মাননীয় পুলিশ সুপার নাটোর বরাবর একই মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী বকুল হোসেন সংবাদ কর্মীদের জানান,আমি পেশায় একজন কৃষক,বসন্ত বিলে রাতে পুকুরের মাছও পাহারা করি।আমি গত ১০/০৬/২৪ইং তারিখ সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে একই এলাকার বসন্তপুর বিলের পাড়ে অবস্থানরত আমার ফুফু মাজেদা(মাজে ফকির)এর বাড়িতে লালপুর থানায় কর্মরত এএসআই ইউসুফ আলী সহ তার সঙ্গীয় ফোর্স ঢুকে পড়ে এবং প্রতিটি ঘর তল্লাশি চালায়,এসময় আমার ফুফু মাজেদা পুলিশের নিকট কারন জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এই বাড়িতে দেহ ব্যাবসা চলে বলে উল্লেখ করেন।এ সময় তাদের চেচামেচি শুনে আমি আমার পাহারারত পুকুরপাড় থেকে ফুফুর বাড়ির সামনে পৌঁছালে আমাকে প্রাথমিক পর্যায়ে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দা কেয়ামত আলীর বাড়ি পার করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে বলে ২০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দিব না হলে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠাবো,আমি দিতে অস্বীকার করলে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারে।পরে নিরুপায় হয়ে প্রানভয়ে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানায় এবং টাকা দিতে স্বীকার করি।পরে আমার আত্নীয় ও উপস্থিত স্বাক্ষী১/ নাজমুল(৫৫)পিতা মৃত ছুবান আলী ২/ভূগোল(৩৫)পিতা মাজদার ৩/রতন (৩২)পিতা আরমান এর মাধ্যমে এএসআই ইউসুফ আলীকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করি।টাকা পাওয়ার পরে এএসআই ইউসুফ আলী আমাকে বলে এ বিষয় নিয়ে যদি থানায় বা অন্য কাউকে বলিস তো আমার হাত থেকে কিন্তু বাঁচতে পারবি না বলে দিলাম।আমি একজন গরীব মানুষ,টাকা গুলো ঋন দেনা করে সংগ্রহ করে দিয়েছি,বর্তমানে আমি হতাশ হয়ে পড়েছি।এমতাবস্থায় আমি থানার ওসিকে জানালে এএসআই ইউসুফ রাগের চোটে যদি আমাকে গুলি করে মেরে ফেলে তাই ভেবে এএসআই ইউসুফ আলীর সুষ্ঠ বিচার হওয়ার জন্য আইজিপি অফিসে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে নাটোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম অভিযোগের অনুলিপি পাওয়ার পরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।