উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ
নওগাঁর পোরশায় মাটি খঁড়লেই মিলছে প্রত্নতাত্বিক সম্পদ। আর এসব প্রত্নতাত্বিক সম্পদ মূল্যবান হওয়ায় প্রায় একযুগের অধিক সময় ধরে এলাকার লোকজন মাটি খুঁড়ে এসব প্রত্নতাত্বিক সম্পদ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হলেও এগুলো রক্ষায় এ পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোন সংস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামে প্রত্নতাত্বিক ওই সম্পদগুলি উদ্ধারের জন্য প্রতিনিয়ত খোঁড়াখুঁড়ি করছে লোকজন। টেকঠা নামক ওই মাঠে প্রায় ১৪ বছর আগে স্থানীয়রা মাটি খনন করে গর্ত থেকে কিছু মূল্যবান জিনিষপত্র পায়। এই জিনিসগুলি ছিল পাথরের তৈরী বিভিন্ন মার্বেল ও তসবী জাতীয় জিনিসপত্র। যে গুলো দেখতে সুন্দর এবং মূল্যবানও ছিল। এরপর থেকে ওই মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়ার আসায় মাটি খনন করতে শুরু করে লোকজন। এতে যেখানেই মাটি খনন করে সেখানেই বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পায় তারা। ফলে এসব মূল্যবান জিনিষপত্র পাওয়ার আশায় প্রতিযোগিতা করে এলাকার মানুষ প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আশে-পাশের আবাদি জমি ও আম বাগান খনন করেই চলেছেন। পাচ্ছেন দামি সব জিনিষপত্র। পুনর্ভবা নদীর পূর্বপাড়ের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে মূল্যবান ওই জিনিসপত্র পাওয়ার প্রতিযোগিতা। কেউ নিজ মালিকানাধীন জমিতে আবার কেউ অন্যের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে খনন করে এসব জিনিসপত্র উদ্ধার করছেন।পশ্চিম রঘুনাথপুর জেলেপাড়ার বৃদ্ধ আব্দুল কাদের জানান, ১২-১৪ বছর পূর্বে এখানে কোন ঘরবাড়ি ছিল না। ফাঁকা মাঠ ছিল। বর্তমানে প্রত্নতাত্বিক তৈজসপত্র উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বসতবাড়ি হয়েছে। তিনি জানান, সর্বপ্রথম তিনি ওই স্থানে কয়েকটি ছোট-ছোট পাথর পেয়েছিলেন। পাথরগুলো ঠিক তসবীতে ব্যবহারের মত পাথর। কাদের মসজিদের একজন মুয়াজ্জিন হিসাবে পাথর গুলো যে মূল্যবান তা ধারনা করেননি বলে জানান। পরে তিনি পাথর গুলি দিয়ে তসবী তৈরী করে ব্যবহার করেন এবং পরবর্তীতে অন্যজনের কাছে পাঁচশত টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে লোকজন শুরু করেন মাটি খননের।