হাসান আহমেদ প্রান্ত নারায়ণগঞ্জ।
আর মাত্র এক’দিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছেন মানুষ। বেশ কয়েকদিন আগ থেকেই এ ছোটাছুটি শুরু হলেও সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের ছুটি একত্রে মিলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকেই ঘরমুখো হচ্ছে মানুষ। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল শুক্রবারও বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ছিল যাত্রীদের ঢল। সবাই ছুটছেন হণ্যে হয়ে। এ যেন জীবন-মরণ লড়াই। যে কোনো মূল্যে ও যত কষ্টই হোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতেই হবে। এজন্য ভোগান্তি সত্তেও মুখে যেন হাসির ছাপ লেগে আছে সবার।
কেউ যাচ্ছেন সড়কপথে, কেউ ট্রেনে, কেউবা লঞ্চে। সরকারের নানা তৎপরতায় বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ি ফিরছে মানুষ। লঞ্চযাত্রায়ও তেমন ভোগান্তি নেই। তবে সড়কপথে যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাড়িফেরা মানুষ। পাশাপাশি বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীর অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তবে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বেড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপও। তবে এখনো পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও তীব্র যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে যেতে পারছেন। ফলে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।শনিবার (১৫জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে দেখা যায় এমনই চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ গার্মেন্ট বন্ধ হওয়ায় পোশাকশ্রমিকরা গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। তবে তাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সোলায়মান হোসেন নামের এক বাসচালক গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই চিটাগাং রোড এসেছি। কোথাও তীব্র যানজট পাইনি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার মহাসড়কের পরিস্থিতি বেশ ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিদ্বিরগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা মহাসড়কে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।