স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে কয়েকজন চোরাকারবারী মিলে স্থানীয় ডলুরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় ৯০০ শত বস্তা এনে রাখা হয়। এই খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ডলুরা সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোঃ আব্দুর রহিম,চিনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিুৃকুর রহমান ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ট্রার্সফোর্স গঠন করে ইউএনওর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গুচ্ছগ্রামে গিয়ে অভিযান চালান। এ সময় গুচ্ছ গ্রামের এক ব্যাক্তির পরিত্যক্ত বাড়ি হতে ২৫১ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
যার প্রতিকেজি চিনির বাজার মূল্য ১২০ টাকা করে মোট ২৫১ বস্তার চিনির বাজার মূল্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার উপর হবে। খবর পেয়ে সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন চোরাকারবারীদের পক্ষে অবলম্বন করে ট্রার্সফোর্সের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(ইউএনও) মফিজুর রহমানের সামনে বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে তর্কে জড়িয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা প্রশাসনের লোকজনের উপর উত্তেজিত হয়ে পড়েন । এ ব্যাপারে ইউএনও অফিসের আইসিটি টেকনোশিয়ান আলাল হোসেন জানান স্থানীয় ইউপি নুরে আলম সিদ্দিক তপনকে শান্ত হওয়ার কথা বললে চেয়ারম্যান তাকেও ধমক দেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এই চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সাথে কে কে জড়িত এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে গডফাদার যারাই জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার রাতে এ বাক বিতন্ডার ঘটনাটি ঘটে। তবে এই চোরাকারবারীরা প্রায় ৯০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি সীমান্ত দিয়ে নামিয়ে এনে গুচ্ছগ্রামে মজুত করছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। অভিযানে ২৫১ বস্তা উদ্ধার করে প্রশাসন এগুলো জব্দ করলে ও বাকি চিনির বস্তার কোন হদিস মিলছে না।
এ ব্যাপারে সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন জানান,এই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং প্রশাসনের লোকজন স্থানীয় জনসাধারনের সাথে খারাপ তর্কে জড়ালে আমি এর প্রতিবাদ করি।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ডলুরা সীমান্ত দিয়ে একটি চক্র গুচ্ছগ্রামে এনে অবৈধ ভারতীয় চিনি মজুদ করছে এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা ট্রার্সফোর্স গঠন করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এই অবৈধ চিনিগুলো উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্যে ১৫ লাখ টাকার উপরে। তবে চেয়ারম্যান বিজিবির কমান্ডারের সাথে যে খারাপ বিহেভ করেছে সেটা বিজিরি যিনি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।