জামাল উদ্দীন- নিজস্ব প্রতিবাদক কক্সবাজার
রোহিঙ্গারাও এদেশের জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ২৯ মে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮, ও ৯ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ছিদ্দিকী মদিনা টেকনাফ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পরিষদের এই আসন টি শূন্য হয়।
পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আরো ২ বছরের অধিক সময় বাকী রয়েছে। তাই এই শূন্য আসন টিতে অনেকে নির্বাচন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
এমন কি গেল ঈদুল আযহায় অনেক সাম্ভাব্য প্রার্থীরা স্ব স্ব মতামত জানান দেয়ার জন্য ঈদমোবারক সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার,পোস্টারও ফেস্টুন ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলোর জনসাধারণ কে ঈদমোবারক ও ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামীতে সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশা করেছেন।
এদের মধ্যে এমন অনেক প্রার্থী রয়েছে যারা এদেশের নাগরিক নন। বাবা সহ বাবার বংশধর ও পূর্বপুরুষরা পর্যন্ত মায়ানমার নাগরিক, বৈবাহিক সূত্রে মায়ের পরিচয়ে এদেশে বড় হয়েছে,এদেশে শিক্ষা অর্জন করেছে,সর্বোপরি এখন এদেশের জনপ্রতিনিধি হওয়ার ও স্বপ্ন দেখছে বলে লোক মূখে শুনাযাচ্ছে।
এদের মধ্যে হ্নীলা ৯ নং ওয়ার্ড মোচনী এলাকার আমান উল্লাহর মেয়ে সামিরা আক্তার অন্যতম। তার বাবা মায়ানমার থেকে এসে দীর্ঘদিন পর্যন্ত টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ বসবাস করছিল পরে মোচনী এলাকায় এসে জৈনক বশির আহমদের এক মেয়ে কে বিয়ে করে। সেই ঘরে সামিরার জন্ম।
সামিরার বাবা এখনো উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে একটা বিয়ে করে সেখানে অবস্থান করছে।আর সামিরা মোচনী এলাকার মাস্টার দেলোয়ারের বাসায় ভাগিনি পরিচয়ে থাকে। এছাড়া আরও অনেকে এইভাবে অবৈধ পন্থায় জনপ্রতিনিধির ভাগ বসাতে মরিয়া। সাধু সাবধান।
এমন যদি হয় আগামীতে দেশের ভবিষ্যত কি হবে আল্লাহই জানেন। কারণ এখন এমনিতেই আমরা উখিয়া টেকনাফ বাসী রোহিঙ্গাদের কাছে সংখ্যালঘু তার উপর যদি জনপ্রতিনিধির ভাগ ও বসায় তাহলে এদেশে আমাদের বেঁচে থেকে লাভ কি?
তাই আগামী যে কোন নির্বাচনে রোহিঙ্গারা যাতে অংশ নিতে না পারে সেই দিকে সচেতন মহল,জনপ্রতিনিধি,ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।এব্যাপারে উক্ত সামিরার বক্তব্য নিতে তার ০১৮২৯ ৪১৯৪৭০ নাম্বার মোবাইলে সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন দিলে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে ফোন কেটে দেয়।