স্টাফ রিপোর্টার ::সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে বড়দল উত্তর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে।
২৪ শে দিবারাতে জুন শিমলতলা গ্রামে এই গঠনা ঘটে, বুধবার (২৬ জুন ) দুপুরের দিকে তাহিরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়ে থাকে।
হামলায় আহতরা হলেন, মোঃ সুজন মিয়া (২৩) পিতা -আয়াতুল মিয়া,আয়াতুল মিয়া (৪৮) পিতা-মৃত হেকমত আলী, সাইদুন নেছা (৪২) স্বামী-আয়াতুল মিয়া,আহত অবস্থায় তাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের,সাজিজুল ইসলাম (৪০),আজিজুল ইসলাম (৪২), মুক্তহার মিয়া (৪৮), সমসেদ আলী (৪৬), রেনু মিয়া (৫০), সর্ব পিতা- মৃত আব্দুল লতিফ,বাদল মিয়া (৩০), পিতা-রেনু মিয়া,আজহার মিয়া (২৬), পিতা-শফিপুর,ফাহিম মিয়া (২০), পিতা-সমসেদ আলী,
হামলার ভুক্তভোগী মোঃ সুজন মিয়া বলেন,সাজিজুল ইসলামসহ আসামীদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের উপর আমাদের বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে,আমি রাতে বসত বাড়ী থেকে বাহির হইয়া মাটি রাস্তার উপর গেলে সকল আসামীগণ পরিকল্পীত ভাবে এক হইয়া আমাকে পথরোধ করে হাতে হাতে রামদা, লোহার রড, বুজাং, কাঠের রুইল ও বাশের লাঠিসোটা নিয়া আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে। এই সময় সাজিজুল ইসলাম হুকুম দিয়া বলে যে, “শালার পুত্ররে জানে মারিয়া ফালাও”। উক্ত হুকুম পাইয়া, আজহার মিয়ার হাতে থাকা রড দিয়া আমাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে মাথায় বারি দেয়, উক্ত বারিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার মাথার বাম সাইটে কপালে উপর পড়ে মাথা রক্তাক্ত জখম করে।
হামলার ভুক্তভোগী আয়াতুল মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে এদের থেকে বাঁচাতে গেলে,মুস্তাহার মিয়ার হাতে থাকা রামদা দিয়া প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাম সাইটে কোপ মেরে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে আমায়,আজিজুল ইসলামের হাতে থাকা রামদা দিয়া প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে,মাথার ডাইন সাইটে কোপ মেরে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে,আজহার মিয়ার,থাকা চাকু দিয়া,মাথা লক্ষ্য করে মারিলে চাকুটি আমার ডান হাত দিয়া আটকাইলে, ডান হাতের কবজির উপরি অংশ কেটে যায় গুরুত্বর ছিদ্রযুক্ত রক্তাক্ত জখম করে, ঘটনা দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রী সাইদুন নেছা ফিরাতে এগিয়ে আসলে সমসেদ আলীর হাতে থাকা রড দিয়া প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে মাথায় বাড়ি মারিলে,উক্ত রডটি আমার স্ত্রীর মাথার উপরে ভাগে পড়িয়া গুরুত্বর ভাবে হাড়ভাংগা জখম করে। এই সময় রেনু মিয়ার হাতে থাকা রড দিয়া আমার স্ত্রীর টুডে বারি মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে।
তাহিরপুর থানার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।