মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ গাজা সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করার অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোরে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া ফেরীঘাট থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো কিশোরগঞ্জের চরসুরাকিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে রনি (২১), বি-বাড়ীয়ার আখাউড়া নলপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন (২৫) ও পৌর এলাকার দেওপাড়া গ্রামের মৃত মো. মিজান শিকদারের ছেলে মো. সাকিল শিকদার (৩০)।
স্থাণীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে উপজেলার পৌর এলাকার দেওপাড়ার ফেরীঘাটে ভৈরব থেকে ট্রেনযোগে নিয়ে আসা মাদক পাচারকালে রনি, মো. জাকির হোসেন ও স্থাণীয় সাকিল শিকদারকে গাজার বস্তাসহ আটক করে। বুধবার বিকেলে থানা সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ থানার এএসআই মো. সামসুল কবীর বুধবার সকালে গাজার বস্তাসহ তিন জনকে আটক করে। তাদের আতœীয় স্বজনের যোগসাজসে দফায় দফায় দর দামের পর মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ৫৪ ধারায় গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত কালীগঞ্জ থানার এএসআই মো. সামসুল কবীর এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এএসআই মো. সামসুল কবীর বলেন, বুধবার সকালে রনি, মো. জাকির হোসেন ও মো. সাকিল শিকদারকে সন্দেহ জনক আটক করা হয়। বি-বাড়ীয়া, কিশোরগঞ্জ ও কালীগঞ্জ পৌর এলাকার লোক এত সকালে কি ভাবে একত্রিত হলো? তাদের কাছে গাজা পাওয়া যায় নাই তবে তাদের কেন আটক করা হয়েছে বা কোন রকম তদন্ত না করে তরিগড়ি করে তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কাছে গাজা পাওয়া যানি। তাদের দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসি। দুপুরে তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, সকালে সন্দেহ ভাজন ৩ জনকে আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে তাদের ৫৪ ধারায় গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গাজাসহ আটক করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।