আজ ২৮ শে জুন শুক্রবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, লেলিন মূর্তির সামনে, জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল করেন, এ আই টি ইউ সির উদ্যোগে, এবং রাজ্যপাল ও শ্রম মন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিলেন , তার সাথে সাথে অকার উচ্ছেদের মুখ্যমন্ত্রী কালা নির্দেশিকা পোড়ালেন।
প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন হকার এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল প্রতিবন্ধী, এই মিছিলটি ছিল অভিনব একটি মিছিল, হকারদের হাতে ছিল হকারী জিনিসপত্র, আর তাই নিয়ে মিছিলে নামেন।
তাদের মিছিল লেনিন মূর্তি থেকে শুরু হয়ে মেট্রো সিনেমা হয়ে ধর্মতলা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে তারা পুনরায় সেই জায়গায় আসেন এবং সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী এই কালা নির্দেশিকা পোড়ান।
তাদের দাবী, উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে কোন হকারকে উচ্ছেদ করা চলবে না,
তুঘলকি নির্দেশের ফলে হকার দের সম্পত্তি নষ্টের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
হকার আইন ২০১৪ অনুযায়ী হকারদের প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে।
প্রত্যেক হকার কে হকারি কার্ড ও লাইসেন্স দিতে হবে।
তাহারা বলেন কোনরকম আগাম নোটিশ না দিয়ে এবং তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে না বলে হকার উচ্ছেদের নামে 25-26 এবং 27 জুন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার আগে পর্যন্ত পুলিশ বুলড্রোজার দিয়ে নৃশংসভাবে ,বেহালা, গোলপার্ক ,সল্টলেক সহ কলকাতার বহু স্থানে এবং বীরভূম ,কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ অন্যান্য জেলায় অগনতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পথে হকার উচ্ছেদ ব্যাপকভাবে শুরু করে। হকারদের বহু জিনিসপত্র নষ্ট করে দেয়া হয়। হকার পরিবারের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে, এমনকি যে সকল ফুটপাতবাসী খাবারের দোকান তাদের বহু খাবার নষ্ট হয়।, তঘলুকি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাই, রাজ্যপাল ও শ্রম মন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিলাম, অবিলম্বে নিয়ম মেনে এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে হকার উচ্ছেদ করতে হবে।
এই প্রতিবাদে সামিল হন এবং উদ্যোগ নেন, এ আই ইউ টি ইউ সি রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস। এবং বলেন আমাদের ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক মাস সময় দিয়েছেন, ফকাদের পরিবার এই হকারীর উপরে নির্ভরশীল।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা,