আব্দুল জব্বার স্টাফ রিপোর্টার:
ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর উমরা ডাঙ্গীতে ৪ দিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে সরজমিনে গেলে আমাদের প্রতিনিধিকে নির্যাতিত পরিবারের লোকজন বলে গতকাল ওমরা ডাংগি বাজারে ইউপি সদস্য মোস্তফার নির্দেশে দুলালকে বাঁশের খুটিতে হাত বেধে রেখে নির্যাতন চালায় পরে আমার বাবাকে ডেকে তার জিম্মায় দুলালকে ছেড়ে দেয়।
কিন্তু আজ সকাল ৯ ঘটিকার সময় দুলাল বাজারে গেলে তাকে আবার মারধর শুরু করে পরে সে জীবন বাঁচানোর জন্য দোড় দিয়ে বাড়িতে পালিয়ে যায় কিন্তু সেদু শেখ, ফিরোজ,আবদুল্লাহ, বাইদুল, জাহাঙ্গীর ইদ্রিস আলী , মাইনুল হক, কাইয়ুম , বোরাক আলী, হবিবুর রহমান, ইউপি সদস্য মোস্তফা সহ অজ্ঞাত ১০/ ১৫ জন দুলালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা ও ছোট ভাইয়ের বউকে ঘুটির সাথে বেঁধে ঘরের দরজা জানালা ভেঙ্গে দুলালকে ধরার চেষ্টা করলে সে ঘরের টিন ভেঙ্গে পালাবার চেষ্টা করলে আবার তাকে আটক করে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে এবং পায়ের তালুতে পেরেক মারে এতে তাঁর পিতা বাধা দিতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি মেরে জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার জন্য পানিতে ডুবিয়ে রাখে। পরে তাদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ভর্তি করে কিন্তু দুলালের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম এ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুলাল চোর সে মোবাইল চুরি করেছে তাই তাকে বাজারে বেধে রাখা হয়েছিল পরে তার পিতাকে ডেকে জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু আজকে সকালে বাজারে এসে হাতুড়ি দিয়ে সে সাইদুরের মাথা ফাটিয়ে দেয় এতে বাজারে ক্ষিপ্ত জনতা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা করেছে এবং আমি ঘটনা স্থলে পরে যায়।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার রানীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।