1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
কোটাই যৌতিক, তবে ৪র্থ প্রজন্মের জন্য কতটা কোটা অযৌতিক যে আন্দোলন সর্বজনীন হয়ে উঠতে হবে ! — সরওয়ার মোরশেদ - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জে শব্দদূষন সচেতনতা ও নিরাপদ সড়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা পুলিশের অভিযানে মাদকসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার ০২ নীলফামারীতে মহানবী (সা:)ও ইসলামকে কুটক্তি করায় থানায় অভিযোগ বারহাট্টায় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা শিবগঞ্জ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত টাকার অভাবে হচ্ছে না রনির অপারেশন লাগবে ৩ লক্ষ টাকা ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়িতে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার কহিনূর বেগম সিলেটে এই প্রথম দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব হাছন রত্নে ভূষিত হলেন ৭ বিশিষ্ট গুণীজন নড়াইলে থেকে নতুন ট্রেনে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকায় শীতের মরশুমে কম খরচে গাঁদা ফুলের চাষ করে রীতিমতো লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা

কোটাই যৌতিক, তবে ৪র্থ প্রজন্মের জন্য কতটা কোটা অযৌতিক যে আন্দোলন সর্বজনীন হয়ে উঠতে হবে ! — সরওয়ার মোরশেদ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আলীহোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ

মহান সৃষ্টিকর্তা সভ্যতায়—সভ্যতায় পবিত্র গ্রন্থ পরিবর্তন করেছিলেন। কারন, মানুষের প্রয়োজন ও সভ্যতার উন্নয়নের পরিবর্তন ঘটাতে—ঘটাতে যখন যে গ্রন্থের প্রয়োজন ছিল, সেই গ্রন্থই চালু রেখেছিলেন। মানুষ যখন সর্বশেষ চরম সভ্যতার জন্ম দিবে বলে সৃষ্টিকর্তা প্রতিয়মান হয়েছিলেন আর তখনই সর্বশেষ আল—কুরআন পাঠিয়েছেন । কখন কি করতে হবে, নাকি বাতিল করতে হবে তার প্রয়োজনই সময় নিধার্রণ করে দিয়েছিল ।
একটি লাঠি আপনার সারা জীবন ধরে রাখার দরকার নাই । আবার আপনি সারা জীবন একটি লাঠি বয়ে নিতেও পারবেন না। কারন ঔ লাঠিটিও বৃদ্ধ হয়ে নষ্ট হবার কারনে বহু বংশপরমপরাও আর ধরে রাখতে পারবেন না । তাই নতুন লাঠি তৈরী হবে এবং নতুন নতুনদের হাতে লাঠিটি গড়াতেই থাকবে । এটাই স্বাভাবিক । এটাকে মানতে না পারলে দেশ তার মানুষগুলোকে বিভক্ত হয়ে যাবার পথ হয়ত দেখাবে না, কিন্তু বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পথ এমনিতেই বেরিয়ে আনবে নিয়তি!
তরুণে রক্ত দান, বার্ধ্যকে লাঠির দান করা দেখা দেয় । সময়ে সময়ে পরিবর্তন মেনে নিতে হয়! ১০০ বছরের আগের আম গাছটি কি এখনো আপনার হয়ে আছে ! আর সব ফল কি আপনি একাই খেতে পেরেছেন ! আমার বংশও আমার জন্য সব করে গেছেন। তাই আমাকেও বংশের ছাপ বয়ে সব কিছু একাই করতে হবে । না আমাকে অন্যের হয়ে অন্যের জন্যও কাজ করা উচিত । যদি বাবার হয়ে একই নিয়মে এক কাজই করি ! তাহলে চৌকিদার থেকে চৌকিদার থেকেই যেতে হয় । চৌকিদারের সন্তানকে বিসিএস অফিসার বানাবেন না! নাকি কোটার বলে চৌকিদারই রেখে দিবেন । তবে কেন সৃষ্টিকর্তা বার—বার পবিত্র গ্রন্থ মানবতা রক্ষায় ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন করলেন ! সৃষ্টিকর্তা নিজেই সৃষ্টিকতার্র এক নিয়ম অনন্ত সময় রাখেন নাই । সৃষ্টিকর্তাই পরির্বতন এনেছেন এবং মানুষকেও পরিবর্তন আনতে বলেছেন । সভ্যতা ও মানুষের জ্ঞান বিবেক বৃদ্ধি হওয়ায় এবং মানব পরিধির প্রসার ঘটার কারনেই সম্ভবত প্রকৃতিরও পরিবর্তিত রুপ এত দৃশ্যমান!
অস্ত্রের আঘাতে জনকে বিভক্ত করে দেয়, এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধটি দ্বারা মানুষকে বিভক্ত না করে বরং একটি অখন্ড স্বাধীন মত প্রকাশের দেশ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন ত্রিশ লক্ষ মা—বোনের ইজ্জত ও জীবন দানের বিনিময়ে । তার মানে সাড়ে—সাত কোটি মানুষকে কি সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সনদ হাতে ধরে দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেছিল কি । নাকি সাড়ে সাত কোটি মানুষকে কোটা দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়েছিল ? সাড়ে—সাত কোটি মানুষকে কোটার বিচারে তৎকালীন সময়ে চাকুরি দেওয়া কি সম্ভব হয়েছিল ! সেই সময়ের সব মানুষেরাই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ! শুধু উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধার বংশপরমপরা আর অন্যান্য কোটা মিলেই ৫৬% কোটা ধারী শতাব্দীর পর শতাদ্বী ধরে গাছের পাকা আম খেয়েই যাবেন! কোটা হোক প্রকৃত জনহিতকরের পক্ষে, যারা ইজ্জত ও জীবন দান করেছেন, তাদের পরিবার খুজ খুজে স্থায়ী কোটা অনুসরন করুন ! কোটা হোক সুবিধা বঞ্চিতদের, কোটা হোক নারীদের, কোটা হোক এতিমদের, কোটা হোক জ্ঞানযোদ্ধা আর অর্থযোদ্ধার এবং প্রতিবন্ধীদের!
৭১—এ ছিল সাড়ে—সাত কোটি মানুষ আর এখন কোথায় সাড়ে আঠারো কোটি মানুষ ! এক হল বলুন! দেশের সবাইকে পড়াশুনা করতে হবে বলছেন, অপরদিকে, দেশে ১৯৭১পরে ১৯৭৩ পর্যন্ত, রহিত অবস্থায় ১৯৯৬ সনের পরেই ৫৬% মানুষই সবোর্চ্চ বিসিএস এর চাকুরি কোটায় হচ্ছে। ৩য় —৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর নিয়োগে ৭০% কোটা চালু আছে, রেলওয়ে নিয়োগে ৮২% কোটা চালু আছে। গুছিয়ে গুছিয়ে কোটার মাধ্যমে সব চাকুরি গ্রহন করালে বাকি জনগণের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে কি করবে। এরা বেকার থাকবে না! এটা কি ঠিক! জনগণ কি চান সরকারকে তা দেখা উচিত । জনগণ কি চান তার ভিত্তিতে দেশে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে সমস্যর নিরসন করা উচিত। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই ২০১৮ সনে মুক্তিযোদ্ধার কোটা পদ্ধতি পুনুরায় বন্ধ করেন। ২০২৪ সনের ০৫ জুন মহামান্য হাইকোট রিট নিস্পত্তি সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধার কোটা আইনের মাধ্যমে সদ্য বহাল করেন। সবার কোটা থাকবে, তবে সব মিলিয়ে এখন ২০% এ কমিয়ে আনা উচিত ! আজ বিশ^ পাল্টেছে ! সুস্থ্য সবল উচ্চ—মধ্যম মেধা সম্পন্ন মানুষের জন্য কিসের কোটা লাগবে। প্রয়োজনে বেশি—বেশি এতিমদের, সুবিধাবঞ্চিত, ও প্রতিবন্ধিদের কোটায় চাকুরি দিন, এখন গরীবদের বিশেষ কোটায় চাকুরি দিয়ে তাদের ধনীতে রুপান্তর করুন!
প্রকৃত কোটা পদ্ধতি চলুক! তবে লজিকের ভিত্তিতে ৪র্থ প্রজন্মের কোটার যৌতিকতা খুেঁজ বের করা উচিত! বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ! বাংলাদেশে গার্মেন্টস কমীর্রাই অর্থের যোগান দাতা এবং বিদেশের দক্ষ কমীর্রাই বৈদেশিক রেমিটেন্স পাঠায় বলেই ৮৬% অর্থের যোগান পাচ্ছি! তা দিয়ে পুরো দেশ চলে। আর আমরা সুবিধা ভুগিরা সব কোটায় চাকুরি নিয়ে গরুর মত করে শুধু জাবর কাটছি (উপমা)। এখন মাঠে নয় বাড়ীতে গরুরা ঘাস খায়, আর কৃষকেরা ঘাস খোেঁজন। কিন্তু কোটায় চাকুরিধারীরা কোন ঘাস—খড় কিছুই তৈরী করেন না এমনকি খোেঁজনও না। শতকরা ৮০% জনগণ কৃষক । বাংলাদেশের কৃষকের কি সম্মান রাখা আছে । দেশের কৃষক ও জনগণেরা কি চান তার ভিত্তিতেই দেশ পরিচালনা হওয়া উচিত। পাশ^বতীর্ দেশ ভারতে কৃষকের প্রচুর সম্মান আছে। ভারতে জনগণের সহিত নয় ছয় চলে না । কারন ভারতের সরকার কৃষক বান্ধব সরকার এবং সর্ব সাধারণকেও মূল্যায়ন করতে হয়। ভারত সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষকদের সম্মান ও অর্থ যোগান দাতার সরকার । ভারতের সাধারণ জনগণও স্বযোদ্ধায় সরকারকে থাকার রায় দেয় এবং বিশ^ সম্মানে অধরার দুনীর্তি করতেও দেয় না জনগণই প্রয়োজনে আন্দোলন করেন!
বাংলাদেশ সরকার জনগণের জ্ঞান যোদ্ধার শিক্ষকদের, শিক্ষার্থীর, চাকুরী প্রাপ্তির যোগ্য প্রার্থীর, এবং বাংলাদেশে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মতের মানুষসহ সব মিলিয়ে ১৮ কোটির অধিক জনগণ আছেন। তাদের সম্মানে মেধা যাচাই করার সুযোগ রেখে মেধার মূল্যায়ন সহ কোটা নীতি অনুসরণ করা দরকার। কোটা সহ চাকুরি পাওয়ার সবার সমান সুযোগ করে দিতে দেশটায় ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মতের জনগনকেও সম্মান দিয়ে সর্বদলীয় মতের ভিত্তিতে চাকুরি দেওয়া উচিত । জনস্বার্থে এখন কোটাকে সংস্কার করে জনহিতকর করে তোলাই হবে সরকারের প্রধান কাজ! সব পক্ষের সব চাকুরিই পাক ! এটাই সরকারের এখন প্রতিপাদ্য!

১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধায় কত—শত হাজারো যোদ্ধার নাম এখনো শুধু প্রমানক কাগজের অভাবে হয়তো মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয় নাই। যেমন: ৩৮ নন্বর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে কুড়িগ্রাম নিবাসী জনাব,শামসুল ইসলাম সাহেব চন্দ্রপুর টু চাপারহাট বুকশুলা ব্রীজ পর্যন্ত মুক্ত এলাকার মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্বে ছিলেন। তার সহ যোদ্ধা হয়ে প্রতি নিয়ত এবং সংবাদের বাহক হয়ে আমার বাবা প্রাথমিকের শিক্ষক তৎকালীন সময়ে যুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন ।
কুড়িগ্রামের লোক বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলামের সহকমীর্ হিসেবে চন্দ্রপুরের অপরিচিত এলাকার সমস্ত রাস্তা ঘাট পরিচিত জনের সহিত প্রতিনিয়ত যোগাযোগের স্থাপন করিছেন আমার পিতা মজির উদ্দিন আহমেদ মাষ্টার । সে সময়ে রংপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালতের বিচারক মুক্তিযোদ্ধা জনাব, জেবিদাশ এর তত্বাবধায়নে মুক্তিযোদ্ধার অফিস সিতাইয়ে খোলা হয় । সেখানে কালীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধার সংগঠক—১ বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব, আলহাজ্জ করিম উদ্দিন আহমেদ সিতাইয়ে অফিসে প্রতিনিয়ত কার্যক্রম চালাতেন। সংগঠক —২ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা চাপারহাটের ডাঃ আব্দুল হামিদ তিনিও সিতাইয়ে অফিসে কার্যক্রম চালাতেন। আমার বাবা মজির মাষ্টার সিতাইয়ে ওনাদের সাথে সংবাদ স্থাপন করাতেন এবং চন্দ্রপুর থেকে আমার বাবা মজির মাষ্টার প্রায় একহাতে জগ ভর্তি গাভীর দুধ ও গোসল করা সেন্টের সাবান নিয়ে আর এক হাত দিয়ে নদী সাতরীয়ে—সাতরীয়ে ওপারের সিতাইয়ে গিয়ে ঘনিষ্টজনদের জন্য প্রায়ই দুধ পৌছাতেন। আমার মা রাহেনা বেগম মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একবেলা ভাতের মাড়,আর একবেলা নুন দিয়ে সুধা ভতার্ ভাত দির্ঘ্য ১০ মাস খেয়ে খেয়ে এবং সাদা হাতের রং করা মার্কিন দুই কাপড়ে ৫+৫ মাস পরিধান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশ স্বাধীনের অপেক্ষায় ছিলেন। কখন স্বাধীনতার ঘোষনা আসে! বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক—২ ডাঃ আঃ হামিদ কর্তৃক বাবার সক্রিয় ভুমিকার জন্য মুক্তিযোদ্ধায় সক্রিয় ছিল মর্মে আমার বাবাকে প্রত্যয়ন দিলেও গরীব মাষ্টারের খেড়ি ভাঙ্গা ঘরের চাল ফুটো থাকায় বৃষ্টির পানিতে ট্রাংক ভিজে ভিজে নষ্ট হয়ে উপযুক্ত প্রমানক আর রাখতে না পারার কারনে এবং আঃ হামিদ স্যার,ও কুড়িগ্রামের শামসুল ইসলাম স্যার বেচেঁ না থাকায় এখন শুধূই মুক্তিযোদ্ধার বংশধর হওয়া অধরাই থাকল !
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানে আর পশ্চিম পাকিস্তান মিলে চাকুরির চিত্র— বাঙ্গালী এবং অবাঙ্গালী (পশ্চিম পাকিস্তান)দের মধ্যে কোটা ছিল জবর দখলের মতো ক) প্রেসিডেন্টের সচিবালয়েঃ বাঙ্গালীদের জন্য চাকুরির কোটা ছিল —১৯% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৮১%, খ) দেশ রক্ষায়ঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—৮.১% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৯১.৯%, গ) শিল্পেঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—২৫.৫% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল —৭৭.৩%, ঘ) স্বরাষ্ট্রেঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—২২.৭% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৭৭.৩%, ঙ) তথ্যেঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—২০.১% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৭৯.৯% চ) শিক্ষায়ঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—২৭.৩% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৭২.৭%,ছ) আইনেঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—৩৫% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৬৫% জ) স্বাস্থ্যে ঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল—১৯% এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল —৮১%, কৃষিতেঃ বাঙ্গালীদের চাকুরি কোঠা ছিল ২১%এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের কোটা ছিল—৭৯% । এখানে কোন ব্যক্তি বিশেষের কোটা ছিল না । কোটা ছিল ০২ পাড়ের শুধু সাধারণ জনগনের জন্য বরাদ্দ করা।
অপরদিকে, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পরে শুরু হয়ে ১৯৭৩— ১৯৯৬— ২০১৮ সালের ০৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে চাকুরি দেওয়া হয়েছে যে ভাবে এর চিত্র— বিসিএস এর জন্য ৩০% মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা বরাদ্ধ আছে, ১০% নারীদের জন্য কোটা বরাদ্ধ, ১০% অনগ্রসর জেলার জন্য কোটা বরাদ্দ, ০৫% ক্ষুদ্র জাতিদের জন্য কোটা বরাদ্দ, ০১% প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা বরাদ্ধ মিলে মোট= ৫৬% কোটায় বিসিএস চাকুরি হচ্ছে। তাহলে কৃষকের ছাত্ররা, সর্ব দলীয় ছাত্ররা, সরস ছাত্ররা, মোধার ছাত্ররা, মধ্যম যোগ্য নারীরা এবং যোগ্য মেধাসহ ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মতামতের জনগনের সন্তানদের কি হবে ! ভাবা যায় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের পর নারী কোটাও বিসিএস ০% রাখাটা কত বড় লজ্ঝাকর ব্যাপার! ২০১৮ হইতে ২০২৪ সনের ৪ জুনের পর ২০২৪ সনের ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধার কোটা পুনুরায় সচল করায়, বর্তমানের কোটা আন্দোলনটি যৌতিক নাকি অযৌতিক কলামটি বিণেস্নষন করে মতামত দিতে পারেন ।
এ ছাড়া ১ম শ্রেনী ও ২য় শ্রেনীর ননক্যাডার কর্মকর্তাদের ১৯৭১ এর পরে স্বাধীন বাংলেদেশে কোটা চিত্র— ননক্যাডার মুক্তিযোদ্দা ৩০%, নারীদের ১৫%, জেলা— ১০%, উপজাতি—৫%, প্রতিবন্ধি ১%, চালূ আছে। এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীদের নিয়োগে কোটা ৭০% চালূ আছে । রেলওয়েতে ৮২% কোটায় নিয়োগে রেলের ওয়াগনই ভর্তি আছে। রেলওয়ে নিয়োগে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে ! সর্বপরিঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা—৩০%, নারীদের বিলাসবহুল ৬০%, প্রতিবন্ধী—০১%, পোষ্য কোটায়—৫% মিলে ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৬% কোটায় প্রাইমারিতে যদি চাকুরি হয়, তবে সাধারণ ৮০% কৃষকের সন্তানদের কি হবে ।
বাংলাদেশে চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সর্ব সাধারনের জন্য এবং ৩৯টি দলের জন্যই দরখাস্ত করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অথচ ভিতরে ভিতরে কোটায় নিয়োগ ও জেলা কোটায় নিয়োগের হাট বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এই সব মিলে কোটার আন্দোলনটি যদি ভুলে—ভালে সর্ব গণজনের সন্তানের হয়ে যেন না উঠে, অথবা কৃষকের সন্তানের আন্দোলন যেন হয়ে না উঠে, অথবা সর্বজনীন ছাত্র/ছাত্রীদের আন্দোলন যেন না হয়ে উঠে। তাই সরকারকে এখনই বুঝে শুনে কোটার আন্দোলনে জল ঠেলে দিয়ে পানি করে দেওয়াটা একান্ত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বৈকি!

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি