স ম জিয়াউর রহমান :
গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নৌবহর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হওয়া আলোকচিত্রী ও দৃক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমসহ বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলের মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটকের বিবরণ ও কারাগারে নির্যাতন
আটকের স্থান: গতকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) ৯টি নৌযানের এই বহরে ইসরায়েলি সেনারা আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান।
কারাগারে প্রেরণ: আশদোদ বন্দরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই কারাগার ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র।
সহিংসতার অভিযোগ: আদালাহর আইনজীবীদের মাধ্যমে ফ্লোটিলার অধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজ দখল নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর দ্বারা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে মারধর, অপদস্থ ও জুলুমের অভিযোগ রয়েছে।
ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য ও বর্তমান পরিস্থিতি
উদ্দেশ্য: ফ্লোটিলা কোয়ালিশন গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধের প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন।
আইনি পদক্ষেপ: ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, ইসরায়েল বেআইনিভাবে ফ্লোটিলা থেকে ১৪৫ জনকে অপহরণ করেছে। আজকেই আটক ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে, তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের পরিপূর্ণভাবে আইনি সুবিধা পেতে বাধা দিচ্ছে।
ফেরত পাঠানো: ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্যকে ইতিমধ্যে ইসরায়েল থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে গাজা অভিমুখী আরেকটি নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪২টি নৌযান থেকে ৪৭৯ জনকে আটক করেছিল ইসরায়েল।