স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ মাহাবুব আলম
দেশের শিশু-কিশোরদের গাণিতিক দক্ষতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘অ্যাবাকাস ম্যাথ বাংলাদেশ’ আয়োজন করেছে দ্বিতীয় অ্যাবাকাস ম্যাথ অলিম্পিয়াড-২০২৫। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এ শনিবার অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।
সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী এই অলিম্পিয়াডের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করে। কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত ১৯৫ জন প্রতিযোগী ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “শিশুদের মেধা, মনন ও নেতৃত্ব বিকাশে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যাবাকাস ম্যাথ বাংলাদেশ যে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”
অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মালিবাগ শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল জেরিনা ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ আব্দুল জলিল, প্রফেসর, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
‘অ্যাবাকাস ম্যাথ বাংলাদেশ’-এর সিইও ইলিয়াস তালুকদার বলেন, “গাণিতিক দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরির লক্ষ্যে এই আয়োজন। ৭৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১৫৫ জনকে ফাইনাল রাউন্ডে তুলে আনা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।”
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শরীফ মোঃ কামরুল হোসেন তার বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই শিশুদের মাঝে গণিত নিয়ে ভয় নয়, বরং আগ্রহ ও আনন্দ তৈরি হোক। অ্যাবাকাস পদ্ধতি শেখার মাধ্যমে শিশুরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং মানসিক গণনায় দক্ষতা অর্জন করে।”
ফাইনাল রাউন্ড শেষে বিজয়ীদের মাঝে সার্টিফিকেট, আকর্ষণীয় পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন ও জাপানের মতো উন্নত দেশে অভিভাবকেরা অ্যাবাকাস শেখাকে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি কেবল গণিতেই নয়, বরং মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
অভিভাবকরাও অ্যাবাকাস ম্যাথ বাংলাদেশের এই ধরনের আয়োজনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।