মুন্সিগঞ্জে শিল্পকলা দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এরশাদ

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা জরাজীর্ণ অব্যবস্থাপনার কারণে সংস্কৃতি চর্চার নানা সমস্যার দ্রুত সংস্কারের আধুনিক কার্যক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কালচারাল অফিসার মো. এরশাদ হাসান।

শিল্পীদের অভিযুক্ত, বছরের পর বছর ধরে সমস্যাগুলো থেকে গেলেও সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। একাডেমির অডিটোরিয়াম ব্যবহার করতে হলে বাইরে থেকে অতিরিক্ত খরচ করে সাউন্ড, লাইট, ফ্যান, পর্দা ইত্যাদি ভাড়া করতে হয়।

জরাজীর্ণ অবকাঠামো একাডেমিটির মঞ্চ, ভাঙ্গা চেয়ার, সাউন্ড সিস্টেম, টয়লেটের ব্যবহারের অনুপযোগিতা, ব্যাক স্ক্রিন ও ফ্যানসহ একাডেমিটি এখন সবকিছুই সমস্যার অকার্যকর।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা বলেন, ‘এ জেলার শিল্পীরা ঢাকাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়ালেও জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাজুক অবস্থার কারণে নতুন শিল্পী তৈরি হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মঞ্চ, চেয়ার, ব্যাক স্ক্রিন, ফ্যান– সবকিছুই ভাঙাচোরা। নাটক মঞ্চায়নের জন্য জায়গাটি আদৌ উপযুক্ত নয়।’

এছাড়াও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ঢালী বলেন, ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একাডেমির অবস্থা বর্তমানে এমন যে, এটি কেবল একটা ভবন, কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। নাট্যদলগুলোকেও বাইরের ডেকোরেটরদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।’ সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে, টয়লেট নষ্ট, পারটেক্স ভেঙে গেছে, স্ট্যান্ড ফ্যান ভেঙে চুরমার। চারভাগের একভাগ চেয়ারে অনুষ্ঠান চলে। পুরো পরিবেশটাই অনুৎসাহজনক।

এবিষয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত কালচারাল অফিসার মো. এরশাদ হাসান জানান, ‘আমি মাত্র তিন চার মাস আগে এখানে যোগদান করেছি। জনবল সংকট চরম। কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই, বাইরে থেকে ভাড়া করে আনতে হয়। ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগে সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা দ্রুতই উপস্থাপন করা হবে।

শেয়ার করুনঃ