আসন্ন নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি

 

মোঃ নাঈম উদ্দীন
স্টাফ রিপোর্টার,
দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।

​আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট আয়োজনসহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

একই দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
​স্মারকলিপি প্রদানকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা জুবায়ের খান বলেন, “জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি না দিলে অভ্যুত্থানের অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনের আগে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নিশ্চিত করা জরুরি।
​মাওলানা জুবায়ের খান আরও জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবির মূল কাঠামো অন্যান্য ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সংসদীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, “অন্যরা পুরো সংসদে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চায়, কিন্তু আমরা কেবল উচ্চকক্ষে এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের পক্ষে।”

​স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিলেও জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সংগঠনটি মনে করে, সনদের আইনি স্বীকৃতি ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের অর্জন অর্থহীন হয়ে পড়বে।

​বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে উত্থাপিত পাঁচটি মূল দাবি হলো:

১. জুলাই সনদের অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন।

২. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ।

৩. নির্বাচনে প্রকৃত লেভেল-প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা।

৪. জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা।

৫. জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর (Proportional Representation- অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি বাস্তবায়ন।

​সংগঠনটির মতে, এই পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়িত হলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।

​স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শোয়াইব আহমাদ কাসেমী, সহ-সভাপতি হাফেজ আশরাফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তারিক মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মারুফ হাসান,

সদর থানা শাখার সেক্রেটারি মুফতি আহমাদ যুবায়ের, যুব মজলিসের সভাপতি আব্দুল হাই-সহ মাওলানা মূসা নুর, মাওলানা মুতাসিম বিল্লাহ ও মাওলানা ফয়জুল্লাহ আল মুনির প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ