মাওয়াজুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মানিক রহমান টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ( প্রায় ১০০০ কি. মি.) সাইকেলিং অভিযাত্রার উদ্যোগ নেয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রায় বিশটির অধিক কোম্পানিতে যোগাযোগ করে স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা করতে না পেরে থমকে আছে তার অদম্য ইচ্ছা।
মানিক রহমান পূর্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলফামারী ৩৩০ কিলো মিটার (২০২৪ সালে), ইবি টু চবি ৪১৮ কি. মি. সাইক্লিং সম্পূর্ণ করে। বর্তমানে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাইকেলিস্ট সংগঠনটির সহকারী কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছেন।
সাইকেলিং ছাড়াও তিনি ১৬ ডিসেম্বর ১৬ কি.মি. ম্যারাথন, ২১ ফেব্রুয়ারী ২১ কিলো ম্যারাথন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ কিলো মিনি ম্যারাথন ৭ স্থান, অগ্নিসংযোগ সচেতনতায় ক্যাম্পাস ৫ কিলো মিনি ম্যারাথন ১ ম, ২৬ মার্চ ২৬ কিলো নাইট ম্যারাথন দ্বিতীয় স্থান, আবরার ফাহাদ স্মৃতি ৭.৫ কিলো মিনি ম্যারাথন ৪ র্থ স্থান, WAMY এর ২ কি.মি. ফান রান দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সাপ্তাহ থেকে তিনি সিটি গ্রুপ, সিটি গ্রুপ মার্কেটিং,সিটি গ্রুপ ক্যারিয়ার, পারটেক্স ভেবারেজ লিমিটেড, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, এমিকো ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড,
প্রাণ, আর এফ এল, কৃষি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক,
চার্টার্ড স্টান্ডার ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রাণি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আইএফ সি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোহানস কোচিংসহ একাধক প্রতিষ্ঠানে স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান স্পন্সরসিপ দিতে সম্মতি প্রকাশ করে নি।
মানিক রহমান সাংবাদিকদের জানায়, ” সাইকেলিং সম্পূর্ণ করতে আমার প্রায় ১০ দিনের অধিক সময় লাগবে। যাত্রা পথে আমার নিরাপত্তা, খাবার, আবাসন সংক্রান্ত সহায়তা, সাইকেল, সাইকেলিং গিয়ার, সেফটি ইকুইপমেন্ট ( জার্সি, হেলমেট, গ্লাভস) প্রয়োজন। এ জন্যই আমার স্পনসরশিপ প্রয়োজন। তবে আমি পিছপা হবো না, শত সমস্যা উপেক্ষা করে করে আমি আমার লক্ষে পৌঁছাবো।