সন্তোসপুরে নির্বাচনী পথসভায় রুহুল আমিন: “আমরা রাজনৈতিক কালচারের আমূল পরিবর্তন চাই”

মোঃ নাঈম উদ্দীন
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি
দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জননেতা মোঃ রুহুল আমিন বলেছেন, “আমরা গতানুগতিক রাজনীতি করতে আসিনি, আমরা রাজনীতির আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে চাই।”

তিনি সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে রাজনীতি গড়ে তোলার এবং জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের রাজনীতি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫ ইং) বাদ আসর জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোসপুর বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উথলী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই পথসভায় বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

জননেতা মোঃ রুহুল আমিন তাঁর বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, “এই গতানুগতিক রাজনীতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং গণমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি।

যেখানে ক্ষমতা নয়, জনগণের কল্যাণই হবে রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে এই রাজনৈতিক কালচারের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে চাই।”

নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে রুহুল আমিন তাঁর নির্বাচনী এলাকার জন্য বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট ও আশাব্যঞ্জক উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে জয়ী হলে আমরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দেব।

হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে চাই যাতে এখানকার মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতে পারে।”
শিক্ষার প্রসারে নিজের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি জীবননগরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।

তিনি মনে করেন, এই অঞ্চল কৃষিপ্রধান হওয়ায় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা গেলে স্থানীয় কৃষকদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

দীর্ঘদিনের বেকার সমস্যাকে এলাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে রুহুল আমিন বলেন, “আমাদের যুবসমাজ আজ হতাশাগ্রস্ত।

আমরা তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই এবং দীর্ঘদিনের বেকার সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।”

জননেতা রুহুল আমিন তাঁর বক্তৃতার শেষাংশে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা জনগণের পাশে থাকতে চাই, উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি মজবুত ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগণ যদি সুযোগ দেয়, তবে আমরা মডেল হিসেবে এই আসনকে গড়ে তুলব।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মাজলিসুল মোফাসসিনের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জেলা তালিমুল বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন,

উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমীর হাফেজ বেলাল হোসেন ও মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা প্রচার ও আইটি সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন, এবং উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুস সালাম।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দও রুহুল আমিনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এবং জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে একটি সুন্দর ও উন্নত সমাজ গড়ার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা এলাকার জনগণের কাছে ভোট চেয়ে জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুনঃ