মোঃ আহসান হাবীব সুমন, নিজেস্ব প্রতিবেদ:
জামালপুর সদর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড পাথালিয়া পচ্চিম পাড়া শারিরীক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০)। যে দরিদ্র রিকশাচলক বাবার কাঁধে নিজেই একজন বোঝা। তার কাঁধে আরেক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবন্ধী মেয়ে।
নিজে কোনো কাজ করতে পারে না। মানুষের কাছে কাজ করতে গেলে চেহারা দেখে নেয় না। অগত্যা, হাঁপানি রোগী, মৃত্যু পথযাত্রী বাবার উপার্যনই বাবা মেয়ের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ।
এমতবস্থায় দিনে কোনো বেলা খাবার জুটে আবার কোনো বেলা জুটে না। বেশিরভাগ সময় বাবা মেয়ে হাত ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
জামালপুর জেলার পাথালিয়া গ্রামের বড়বাড়ির বাসিন্দা, রবিউলের মেয়েটা দিন দিন বড় হচ্ছে। তার জন্য খাওয়া দাওয়া কাপড় চোপড়ের ভাড়তি প্রয়োজন। সে প্রতিবন্ধী হলেও ভিক্ষুক নয়। তাই, কারো কাছে যাইতে পারে না, কারো কাছে চাইতেও পারে না। তবে, সামর্থ্যবান মানুষের মুখের দিকে, চোখের দিকে, হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিবেকবান মানুষরা তার চোখের ভাষা বুঝে কিছু দিলে খুশি হয়ে নেয় তারা।
এই রবিউলের জন্য যদি জামালপুর জেলা প্রশাসক এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তর বা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যতম ব্যাক্তি ছোটখাটো একটা চাকুরি অথবা স্থায়ী কোনো হালকা কাজের ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে হয়তো তাদের কারো মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না। প্রতিবন্ধী বাবা মেয়ের মুখের আহার নিশ্চিত হতো!
সমাজের সামর্থ্যবান ও বিবেকবানদের বিবেকের কাছে রবিউলের এই আবেদন।