আজাদুর রহমান, বগুড়া:
পরিবেশবান্ধব উপায়ে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন ও রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে বগুড়া জেলায় একযোগে ১২টি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ধানের ক্ষেতে আলোক ফাঁদ প্রদর্শনী কার্যক্রম।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়া সদর উপজেলার কৈচর পশ্চিম পাড়া এলাকায় কৃষক মানিক, ছালাম, আনোয়ার ও সাইদের ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
আলোক ফাঁদ পরিবেশবান্ধব এক কার্যকর পদ্ধতি, যা রাতের বেলায় ক্ষতিকর পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করে ফাঁদের মধ্যে আটকে ফেলে। এতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং উপকারী পোকামাকড় রক্ষা পায়। ফলে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায় ও মাটি-পানির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়ার উপ-পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ শামসুদ্দীন ফিরোজ, তিনি বলেন,
“সপ্তাহের প্রতিটি সোমবার মাঠপর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ ফাঁপোড় ইউনিয়নে কৃষকদের নিয়ে ধানের ক্ষেতে আলোক ফাঁদ প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবেন, ফলে ফসলের ক্ষতি কমবে এবং উৎপাদন বাড়বে।”
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ইসমত জাহান, এসএ পিপিও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এসএএও মোঃ সাহাবুল ইসলাম (কৈচর ব্লক), এবং স্থানীয় কৃষক মানিক, সালাম, আনোয়ার, সাইদ, সাজ্জাদসহ প্রায় ৩০ জন কৃষক, উদ্যোক্তা, কীটনাশক ও সার বিক্রেতা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকেরা ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড়ের উপস্থিতি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন। এতে জৈব কীটনাশক প্রয়োগের সঠিক সময় নির্ধারণ সম্ভব হয়, যা পরিবেশ, কৃষক ও কৃষি সব দিক থেকেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।