বিধবার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট, বিচারের আশায় আদালতে ভুক্তভোগীর মামলা

 

সিএমবি ভাটার সরকারি জমি নিয়ে বিরোধের স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা বিষয়টি উপেক্ষা করে রাস্তা বন্ধ করে টিন দিয়ে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়া এলাকায়। এনিয়ে বিচার চেয়ে বিধবা ভুক্তভোগী নারগিছ পারভীন (৪০) আদালতে মামলাও করেছেন। নারগিছ পারভীন একই এলাকার কলকতি গ্রামের মোঃ আহসান আলীর মেয়ে। মামলাটি বর্তমানে পাবনা বিজ্ঞ আমলী ২নং আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলার এজাহারে নারগিছ পারভিনের বাড়ির পিছনে টয়লেটের যাওয়াসহ ও আসামীদের চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর আগে ভাঙ্গুড়া পৌর সভা থেকে মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেয় হয়। সে সীমানা নির্ধারণ অমান্য করে সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে বাড়ির পিছনে টয়লেটে যাওয়ার রাস্তা আটকিয়ে দেন মুক্তি খাতুন গং পরে নারগিছ পারভীন সেখান থেকে টিনের বেড়া তুলতে বললে,মোঃ আগজর আলী,বাবু,আনোয়ার হোসেন,মুক্তি খাতুন,আনোয়ারা ও ভাড়া করা সন্ত্রাসী মোঃ ফিরোজ,মোঃ আশিক,খায়রুলসহ আরো অজ্ঞাত ১০/১৫ জন নারগিছ পারভীনকে প্রথমে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলিয়া এলোপাতাড়ি কিল,ঘুষি,লাথি মারিয়া বিভিন্ন স্থানে ছোলা,ফোলা,কালশিরা রক্তজমাট হয়।তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকের উপর উঠে গলাচিপে ধরে। পরে তাকে বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানি করে।তারপর বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে তারা চলে যাওয়ার সময় তারা নারগিস পারভীনের ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা,১০ টি হাঁস,২টি ছাগল চুরি এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে,তখন নারগিস পারভীনের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন নারগিস পারভীনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে ৩ জুলাই হইতে ৫ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহন করে।

পরে মোঃ আহসান আলীর মেয়ে নারগিস পারভীন বাদী হয়ে ৮ জুলাই ২০২৫ পাবনা জেলার বিজ্ঞ আমলী ২নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর সিআর ১৬৮।

সে মামলায় আসামী করা হয়েছে ১।মোঃ আগজর আলী (৬০) সে মৃত সিকাত আলীর ছেলে ২। বাবু (৩০) মৃত রয়েলের ছেলে,৩। আনোয়ার হোসেন (২৮) সে আগজর আলীর ছেলে ৪। মুক্তি খাতুন (২২) সে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী, ৫।আনোয়ারা (৫০) সে আগজর আলীর স্ত্রী সবাই মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা ৬। মোঃ ফিরোজ (২৫) ৭। আশিক (২০) ৮। খায়রুল (৩২) উভয় পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মকুল সরকারের ছেলেসহ আরো ১০/১৫ অজ্ঞতনামা দিয়ে মামলা করেন।

মামলার বাদী বিধবা নারগিছ পারভীন জানান, আসামীরা আমার সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।আসামীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয় এবং আমারতো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নাই,সেই জন্য আমি যেন ক্ষতিপুরন পাই,তার জন্য ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমি আদালতে মামলা করেছি।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌর সভার সাবেক কমিশনার ও পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,নারগিস পারভীন ও মুক্তি খাতুন দুইজনই সিএমবি ইট ভাটার সরকারি জায়গায় থাকে তাদের দুই জনের মধ্যে বাড়ির পিছনে টয়লেটে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলছিল,চলাচলের রাস্তাটিতে টিনের বেড়া দেওয়া নিয়ে দুই জন মারামারি করে,শুনেছি নারগিস পারভীন আদালতে মামলা করেছে। এখন যেহেতু ঘটনাটি আদালতে গিয়েছে এখনে আমাদের করার কিছু নেই।

শেয়ার করুনঃ